ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বরগুনায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নার্স সহকারীকে ধর্ষণ চেষ্টা।

বরগুনায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নার্স সহকারীকে ধর্ষণ চেষ্টা।

বরগুনার বামনা উপজেলা শহরের একটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নার্স সহকারীকে বাবুল হাওলাদার (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ী শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টা করেছে।

বুধবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় জানা গেছে, বামনা উপজেলার পূর্ব শফিপুর গ্রামের মৃত শুক্কুর হাওলাদারের পুত্র মোঃ বাবুল হাওলাদার (৪৮) বিভিন্ন সময় পথেঘাটে ও হাসপাতালে বসে আকার ইঙ্গিতে খারাপ প্রস্তাব দিয়ে যৌন হয়রানি করে আসতে থাকে। গত ৯ আগস্ট বিকাল ৪ টার দিকে ইসলামীয়া হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারের রুম প্রস্তুত করার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাবুল হাওলাদার প্রবেশ করে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে অশোভন আচরনসহ কু-প্রস্তাব দেয়। তার কু-প্রস্তাবে রাজী না হলে ঝাপটে ধরে পড়নের কাপড়-চোপর টেনে খুলে ফেলে ধর্ষন করার চেষ্টা করে। এ সময় ডাক-চিৎকার দিলে আসামি বাবুল হাওলাদার ক্ষিপ্ত হয়ে কিল, ঘুষি, লাথিসহ মাথার চুল টেনে ধরে শারীরিক নির্যাতন করে।

ঘটনাস্থলে লোকজন উপস্থিত হয়ে ধর্ষণচেষ্টার শিকার ওই নারীকে বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে বরগুনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

ধর্ষণচেষ্টার শিকার ওই নারী জানান, ১৪ আগস্ট ১০ টার দিকে বামনা থানায় যাওয়ায় কর্তব্যরত অফিসার ইনচার্জ মামলা না নিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেন।

ইসলামীয়া হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক এইচ এম আল আমীন জানান, বাবুল হাওলাদার এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এরকম একটা জঘন্য ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় বুক ফুলিয়ে বেড়াচ্ছে। মেয়েটি ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিকার চাইতে গেলে বাবুল হাওলাদার অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। মেয়েটি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

এ ব্যাপারে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইনুল ইসলাম জানান, মেয়েটি থানায় এসেছিল। আমি বলেছি ধর্ষণের মত কোন ঘটনা ঘটলে মামলা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কিন্তু তারা শুধুমাত্র একটা জিডি করে চলে গেছেন।

বরগুনা,ধর্ষণ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত