দীর্ঘ কয়েক বছরের গভীর প্রেম চলাকালে হঠাৎ বিরোধে প্রেমিকা তার মোবাইল থেকে প্রেমিক মো. আহসান হাবিবকে (১৮) ফোন করা বন্ধ করে দেয়। আহসান ফোন করলেও সে ফোন রিসিভ করছিল না। এতে করে প্রেমিক আহসার মনে দুঃখ পায় বলে তার সহপাঠিরা জানান। এক পর্যায়ে প্রেমিকা তার মোবাইল নাম্বার থেকে প্রেমিক আহসানের মোবাইল নাম্বারটি ব্লক করে রাখে।
এতে করে আহসান হাবিব বিষয়টি সহজে মেনে নিতে না পারায় মনের আবেগে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে আহসানের সহপাটি ও এলাকাবাসীর ধারণা।
বুধবার (১৬ আগস্ট) দিনভর বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শেষে ময়না তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিকেলে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পরে বুধবার উপজেলার মেহের দক্ষিণ ইউনিয়নের বটুয়াপাড়া গ্রামের বটুয়া বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে যুবককের দাফন সম্পন্ন হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে,গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে শাহরাস্তি উপজেলার মেহের দক্ষিণ ইউনিয়নের বটুয়াপাড়া গ্রামের বটুয়া বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান এলাকায়।
আত্মহত্যাকারী যুবক ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী আমান উল্ল্যার একমাত্র ছেলে মো: আহসান হাবিব। সে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতো এলাকায়।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাবিব সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। পরে আর লেখাপড়া না করে ভাড়ায় অটোরিকশা চালাতো। এরই মধ্যে অনুমান দু’বছর আগে পার্শ্ববর্তী দেবকরা গ্রামের লদের বাড়ির এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর মোবাইলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই মধ্যে ছয় মাস আগে তারা বিবাদে জড়িয়ে সম্পর্কের অবনতি হয়। কিন্তু আবার তারা পরিবারের অগোচরে মোবাইলে কথা বলা শুরু করে সম্পর্ক ভাল হয় । তবে সোমবার (১৪ আগস্ট) হঠাৎ করে আহসানের সঙ্গে প্রেমিকা সাথী মোবাইলে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে মোবাইলের মেসেজ দেখিয়ে আহসানের বড়বোন শারমীন আক্তার রুনু পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানান, আমার ভাই ওই রাতে সাথীকে তার ফোন নম্বর বøক না করার অনুরোধ করে। কিন্তু সাথী তার ফোন বøক করে দেওয়ায় হুমকি দিলে, আমার ভাই আহসান আত্মহত্যার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে আমার ভাই নিজ ঘরে একটি সিলিং ফ্যানে কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যরা আহসানের সাড়া-শব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে পুলিশকে খবর পাঠায়।
শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশ চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরন করে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।
