রাজনীতির নামে ফাঁয়দা লুটে ধান্দা করে : শামীম ওসমান

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ২০:১৫ | অনলাইন সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, জাতির পিতা জাতিসংঘে ভাষণে বলেছিলেন আমি শোষক নয় শোষিতের পক্ষে। এ কথাটা বিশ্ব মোড়লরা ভালোভাবে নেয়নি। যারা স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল তারা এটা ভালোভাবে নেয়নি। তখনও তারা সেন্টমার্টিন দ্বীপ বঙ্গোপসাগর চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি কারো কাছে আমি দেশের জমি বিক্রি করবো না। এবারও সেই অপচেষ্টা চলছে। দেশ সামনের দিকে এগিয়ে গেছে, আরও যাচ্ছে। এটা অনেকেই সহ্য করতে পারছে না। আমাদের বঙ্গোপসাগরে অপশক্তি ঘাঁটি করতে চাচ্ছে। তারা বাংলাদেশকে আফগানিস্তান, সিরিয়া বানাতে চাচ্ছে। আমাদের নেত্রী কখনো কারও কাছে মাথা নত করেননি। দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয় এমন কারও সঙ্গে আপস করেননি। তাই অনুরোধ করবো দেশকে বাঁচাতে হবে। আপনারা ঘুম থেকে উঠুন। আপনারা আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আবারও তাকেই নির্বাচিত করুন। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের সম্পদ নয়। তিনি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কেউ তো রাজনীতিতে মাঠে নামছেন না। তারা রাজনীতি করে ফাঁয়দা লুটে, তারা ধান্দা করে। রাজনীতিতে কেউ খেতে আসছে, আমরা দিতে এসেছি।

শামীম ওসমান বলেন, শেখ হাসিনা হত্যার পরিবর্তে হত্যা করেননি। ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা প্রায় পঞ্চাশ-ষাট জন বলেছিলাম স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে এক বছরের মধ্যে বিচার করে তাদের (হত্যাকারীদের) ফাঁসি দেন। তিনি বললেন না, আমি প্রচলিত আইনেই বিচার চাইবো। বিএনপির শাসনামলে আমাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়েছে। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসে কারও ওপর প্রতিশোধ নিইনি। কিন্তু তারা আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে, হত্যা করেছে, লুটপাট করেছে। ৪৯ জন নেতাকর্মীদের দাফন করেছি। লাশ নিয়ে কবরস্থানে যেতে পারিনি। লাশের ওপর গুলি করা হয়েছে। লাশ থেকে সেই গুলি বের করে দাফন করতে হয়েছে। তারপরও আমরা প্রতিশোধ নেইনি। কারণ আমাদের নেত্রী সহিংসতার শিক্ষা দেয়নি। তিনি আমাদের একটাই শিক্ষা দিয়েছেন, ‘যত দিন বেঁচে আছ, মানুষের জন্য কাজ করো, তাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে হবে। আন্দোলনের নামে যারা নির্বিচারে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তারাই আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নামে আন্দোলনে নেমেছে। এরাই ২০১৩-১৪ সালে পাঁচ শতাধিক মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এরা এখন কোন ধরনের গণতন্ত্রের কথা বলে?