ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শিক্ষামন্ত্রীর ৫লাখ টাকার চেক পেল সেই রাব্বি

শিক্ষামন্ত্রীর ৫লাখ টাকার চেক পেল সেই রাব্বি

প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শিশু রাব্বি হোসেনের” পরিবার জেলা প্রশাসন থেকে ঘর পেয়েছে। রাব্বির মা রাবেয়া বেগমের নামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে একটি ঘর প্রদান করা হয়েছে। রামদাসদী আশ্রয়ণ কেন্দ্রের পাশেই। ভবিষ্যতে যেন অর্থের অভাবে তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে না যায় সেজন্য রাব্বির পরিবারকে সরকারিভাবে ৫ লক্ষ টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিট করে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন আয়োজি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি শিশু রাব্বির হাতে তার বাবা মা ও বোনের উপস্থিতিতে শিক্ষা উপকরণসহ ৫লক্ষ টাকা মূল্যমান অর্থের চেক তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পৌর মেয়র মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জুয়েলসহ অন্যরা প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতায় ১১ বছরের অসহায় রাব্বি ও তাঁর পরিবার খুঁজে পেল নতুন ঠিকানা। অর্থের অভাবে তার আর লেখাপড়া বন্ধ হবে না। এজন্য শিশু রাব্বি ও তারঁ মা বোন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অসহায় চা’ষ্টোলের বয় সে শিশু বালক চাঁদপুরের সেই ছোট্ট রাব্বি এখন অনেক ভালো আছেন। সদর উপজেলার ল²ীপুর ইউনিয়নের রামদাসদী পীর বাদশা মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে পড়ছেন। জেলা প্রশাসক চাঁদপুরের নির্দেশনা মোতাবেক চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাব্বিকে দুই সেট জামা ও প্যান্ট, ১টি স্কুল ব্যাগ, ১টি ওয়াটার বোতল,এক জোড়া মোজাসহ জুতা প্রদান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ জুলাই জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে চোঁখের চিকিৎসা নিয়ে ছিলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য করেন, ভিড়ের মাঝে একটি শিশু দাঁড়িয়ে দূর থেকে সালাম দেয়। তিনি রাব্বির কাছে যান ও পরম মমতায় তাকে আদর করেন। এ সময় তিনি ছোট্ট রাব্বির কাছে জানতে চান সে কী করছে, কার সঙ্গে হাসপাতালে এসেছে, কোন ক্লাসে পড়ছে ?

১১ বছর বয়সী রাব্বি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, সে জাতীয় চক্ষু হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে এবং সেখানেই থাকে। তার বাবা মারা গেছে। ক্যান্টিনে যোগ দেয়ার আগে, শিশুটি দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। রাব্বি প্রধানমন্ত্রীকে বলে, ‘আমি চাঁদপুরে মায়ের কাছে ফিরে যেতে চাই। আবার পড়ালেখা শুরু করতে চাই।’মা রাবেয়া বেগম সুতার কারখানায় কাজ করত। রাব্বির সৎ বাবা জাহাঙ্গীর আলম দিনমজুর।

প্রধানমন্ত্রী রাব্বির কথা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি তার শিক্ষা ব্যয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তা’ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

সে এখন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনা রয়েছেন। সে এখন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আবার বন্ধ হয়ে যাওয়া পড়াশুনা করে সত্যিকারের মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে,তার পিতা-মাতা।

রাব্বি’র স্বপ্ন সে অনেক পড়াশুনা করবে এবং বড় মানের মানসম্মত মানুষ হিসেবে এ দেশের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবে এবং সে একজন দেশ সেরা খেলোয়ার হওয়ারও স্বপ্ন দেখছে বলে তার অভিমত প্রকাশ করেন।

তাছাড়া ভবিষ্যতে যেন সত্যের অভাবে রাব্বির লেখাপড়া বন্ধ হয়ে না যায় সেজন্য শিক্ষামন্ত্রী, চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা প্রশাসকের আর্থিক সহযোগিতায় নির্বাহী অফিসার চাঁদপুর সদর এবং রাব্বির মায়ের যৌথ স্বাক্ষরে সোনালী ব্যাংকে রাব্বির জন্য ৫ লাখ টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিট এবং একটি সঞ্চয় হিসাব খোলা হয়েছে। সেখান থেকে রাব্বি প্রতিমাসে প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা লভ্যাংশ পাবে। এই টাকা দিয়েই তার লেখাপড়া এগিয়ে যাবে। রাব্বির উচ্চশিক্ষা শেষ হলে তার কর্মসংস্থানের জন্য এই ফান্ড ব্যবহার করতে পারবে।

জেলা প্রশাসনের দপ্তরের সাথে আলোচনায় জানা গেছে,সেই গরীব রাব্বি’র সকল প্রকার পড়ালেখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী। সেখানকার নির্দেশ মোতাবেক সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

আলোচনা,পড়ালেখা,প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত