চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায় স্বামী আজিম বিদেশে থাকার সুযোগ পেয়ে দেবর হাফেজ মেহেদী হাসানের হাতে ধর্ষনের শিকার হয়ে ভাবী অন্ত:সত্তা হয়ে পড়েন। পরে এ ঘটনায় আদালতে ধর্ষণ মামলা হয়। ধর্ষণ মামলার আসামী দেবর হাফেজ মেহেদী হাসানকে ৪ বছর পর গ্রেফতার করে কচুয়া থানা পুলিশ।
সোমবার (২১আগস্ট) সন্ধ্যায় কচুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদ সরকার সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত মেহেদী কচুয়া উপজেলার হাসিমপুর গ্রামের গোলাম মাওলার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোলাম মাওলার ছেলে আজিম ইসলামিক শরীয়াহ্ মোতাবেক উপজেলার কহলথুড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে আফরিন জাহান রীনির সাথে ২০১৯ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের কিছুদিন পর আজিম সৌদি আরব চলে যান। আজিমের অবর্তমানে ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে রীনিকে বসতঘরের দোতালায় নিয়ে দেবর মেহেদী জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এতে ভাবী আফরিন অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েন।
বিষয়টি জানাজানি হলে মেহেদী হাসান এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠক বসলেও কোনো সমাধান হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে রীনি চাঁদপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদালত মামলাটি কচুয় থানায় পাঠান। মামলাটি চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি নিয়মিত মামলা হিসেবে কচুয়া থানায় অভিযোগটি দায়ের করা হয়।
এদিকে এলাকাবাসী ধর্ষনের ঘটনার বিচার দাবী করে ধর্ষক মেহেদীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তাকে এলাকা থেকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে।
