বরিশালে সরকারি হাসপাতালে রোগী ও তার স্বজনদের ওপর হামলা

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১৭:২৭ | অনলাইন সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

সরকারি হাসপাতালের ফটক আটকিয়ে নারী রোগী ও তার সন্তানদের মারধরের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বহিরাগতদের বিরুদ্ধে রোগী ও তার স্বজনদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালের।

বুধবার সকালে উপজেলার ধুরিয়াইল গ্রামের বাসিন্দা আকাশ সিকদার অভিযোগ করে বলেন, গত চার মাস পূর্বে আমার স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হয়। এতে সে (স্ত্রী) অভিমান তার বাবার বাড়ি আশোকাঠী চলে আসে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি আমার অসুস্থ্য বোন লাইজু আক্তারকে দেখতে যাই। আমি হাসপাতালে আছি জানতে পেরে আমার শ্যালক রিফাত সরদারের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি দল হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে আমার ওপর হামলা চালায়। এসময় হামলা ঠেকাতে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা আমার বোনজামাতা ফারুক হাওলাদার, ভাগ্নে রিয়াদ, ভাগ্নি জান্নাত আক্তার, ফারজানা আক্তার ও হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ্য বোন লাইজু আক্তারকে পিটিয়ে আহত করে। এরমধ্যে দুইজনকে গুরুত্বর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার এসআই নাসির হোসেন বলেন, খবরপেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি হাসপাতালে ঢুকে রোগী ও তার স্বজনদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করছে। ফলে এধরনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দুরদুরান্তের রোগীরা এ হাসপাতালে ভর্তি হতে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বে। এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত গার্ড না থাকায় এরকম অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে।

উল্লেখ্য, গত একমাস পূর্বে হাসপাতালের আয়া নিপসুন নাহারের সাথে রোগীর স্বজনদের বাগ্বিতন্ডার জেরধরে রোগী শিমুল বেগম ও তার দুই সন্তানের ওপর হামলা চালিয়েছিলো বহিরাগতরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে ঢুকে রোগী ও তার স্বজনদের ওপর হামলায় আর কেউ সাহস দেখাতো না।