সাভারে সন্ত্রাসী কায়দায় নিজের আপন ভাইয়ের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এছাড়া হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া ও গুলি করে হত্যা চেষ্টারও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। অপরদিকে ভুক্তভোগী তারই সহোদর ভাই হুমায়ুন কবির। তারা ওই ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের আব্দুল ওহাব আলীর সন্তান।
বুধবার দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের একটি গ্যারেজে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালানো হয় হুমায়ুন কবিরের ওপর। হুমায়ুন পেশায় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে ঠিকাদারীর কাজ করেন।
ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির অভিযোগ করে বলেন, তিনি ও তার সঙ্গী রওশন আলী (৩৫) স্থানীয় রনির মোটরসাইকেল গ্যারেজে বসে কথা বলছিলেন। এসময় তার ভাই হামিদ ও তার সঙ্গে থাকা বাবু নামের অপর এক ব্যক্তি তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে জিআই তার দিয়ে পেটিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করা হয়। এর কিছুক্ষণ আগে তাকে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছিলো।
হুমায়ুন কবির জানান, তার ভাই বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রে আজ তিনি (হুমায়ুন) পৈত্রিক বাড়ি ছাড়া হয়ে অসহায় জীবন-যাপন করছেন। হামিদের ভয়ে তটস্থ থাকতে হয় পরিবারে অন্য সদস্যদেরও। তাই নিরাপত্তাহীন হয়ে পাশ্ববর্তী রাজাশন এলাকায় এখন ভাড়া থাকেন তিনি।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হলে তার ভাই হামিদ ও তার বাহিনী তাকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে এমন ভয়ে সঙ্কিত হুমায়ুন। তবুও তিনি আইনগত সহায়তা নিয়ে এসব নির্যাতনের প্রতিকার চান বলে জানান স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে।
যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আব্দুল হামিদ নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি একান্ত পারিবারিক ব্যাপার। এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।