রামুতে সাংসদ কমলের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু'র বৃহত্তর মেজবান শনিবার
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ২০:১৫ | অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার ও রামু প্রতিনিধি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও রামু স্টেডিয়ামে ঐতিহ্যবাহী মেজবান ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। কক্সবাজার-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন পরিষদ, রামুর উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়েছে। এই মেজবানে ৪০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৮টায় থেকে কোরআন খতম এবং দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে মেজবান।
জেলার কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাঁও উপজেলা থেকে আগত শোকার্ত মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও মিলাদ মাহফিলের পর মেজবানে অংশ নিবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইছালে ছওয়াবের জন্যই এ আয়োজন। জানালেন, বৃহত্তর মেজবানে উদ্যোক্তা জাতীয় শোক দিবস উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।
গতকাল শুক্রবার বিকালে শোক সভা ও মেজবানে বিশাল পেন্ডেল পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় এমপি কমল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়েছেন জাতিগত পরিচয়, স্বাধীন সার্বভৌমিক বাংলাদেশ। বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের পথ ধরেই তিনি স্বাধীনতার স্থপতি হিসেবে জেগে উঠে ছিলেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে এই দেশে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই সময়ে ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। যে বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতিগত পরিচয় এনে দিয়েছেন, স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়েছেন। তাঁর নাম মুছে ফেলা সম্ভব নয়। তাঁর জীবন ও কর্ম বাঙালি জাতির ইতিহাসে, আমাদের মনেপ্রাণে জীবন্ত হয়ে আছেন।
এমপি কমল বলেন, আমাদের জাতিগত পরিচয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদান, জীবন, কর্ম ও দর্শনকে এ প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন ও চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেই রামুতে প্রতি বছর মেজবান ও শোকসভা আয়োজন করা হয়। এ মেজবানে মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য পৃথকভাবে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এ জন্য ৫০টি গরু ও ১০০টি ছাগল জবাই করা হবে। ৪০ হাজার মানুষের জন্যে ঐতিহ্যবাহী মেজবানি খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু'র মেজবান আয়োজনের সব কাজে রামু উপেজলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্তরিকভাবে সহায়তা করছেন বলে জানান, জাতীয় শোক দিবস উদযাপন পরিষদ, রামু উপজেলার আহ্বায়ক ও কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ফরিদুল আলম এবং উদযাপন পরিষদের মহাসচিব ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো। তাঁরা জানান, শোকসভায় জাতীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।