বরিশালে র্যাগিংয়ের শিকার ছাত্রী, সাংবাদিকদের উপর হামলা
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১৯:২৯ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল ব্যুরো
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। কলেজ অধ্যক্ষের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় উল্টো সাংবাদিকদের পিটিয়েছেন কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা: সৈয়দ বাকী বিল্লাহ ও প্যাথলজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: প্রবীর কুমার সাহা। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিকদের প্রথমে চড় থাপ্পর, পরে চেয়ার দিয়ে পেটাতে থাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের দুই চিকিৎসক।
শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী র্যাগিংয়ের শিকার হন বৃহস্পতিবার। তার বিচার চাইতে ওই ছাত্রী ও তার মা শনিবার সকালে যান কলেজ অধ্যক্ষের কাছে। এসময় সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার শাকিল মাহমুদ, চিত্র সাংবাদিক সুমন হাসানসহ চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের স্টাফ রিপোর্টার কাওছার হোসেন রানা , চিত্র সাংবাদিক রুহুল আমিন, এশিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্টার ফিরোজ মোস্তাফা ও চিত্র সাংবাদিক আজিম শরিফ যান তথ্য সংগ্রহে। ভুক্তভোগীরা তাদের বক্তব্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরায় হঠাৎই সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় দুই চিকিৎসক। সাংবাদিকদের রুম থেকে বের করে দিয়ে র্যাগিংয়ের শিকার ওই ছাত্রী ও তার পরিবারকে আটকে রাখে দুই চিকিৎসক।
সময় টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো রিপোর্টার শাকিল মাহামুদ জানান, ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় হঠাৎ করেই ডা: বাকী ও ডা: প্রবীর আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের ক্যামেরা ও ট্রাইপড ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলার কারণ কি আমরা জানি না। র্যাগিং এর ঘটনা ধামাচাপা দিতে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে।
চ্যানেল ২৪ এর স্টাফ রিপোর্টার কাওছার হোসেন রানা বলেন, আমরা সাক্ষাৎকারের জন্য বাইরে দাড়িয়ে ছিলাম। আমাদের উপর হামলা করাটা তাদের অপকর্ম ঢাকার প্রক্রিয়া। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ এসে গেট খোলে দুপুর ১টার দিকে।
এদিকে এই ঘটনার পর দুপুর দেড়টায় পুলিশের মধ্যস্থতায় কলেজ কতৃপক্ষ ও সাংবাদিক নেতারা আলোচনায় বসে। এরপর হামলাকারী দুই চিকিৎসক হামলার শিকার সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত ফয়জুল বাশার বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, দুই পক্ষকে বসিয়ে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।
শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের ৫ম ব্যাচের নিলামা হোসেন জুই ও তার সঙ্গীরা র্যাগিং করে তৃতীয় বর্ষের আরেক ছাত্রীকে।