ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

“রৌমারী বিল অনন্য পর্যটন শিল্প হিসেবে গড়ে উঠতে পারে” জামালপুর ডিসি

“রৌমারী বিল অনন্য পর্যটন শিল্প হিসেবে গড়ে উঠতে পারে” জামালপুর ডিসি

সম্প্রতি জামালপুরের রৌমারী বিল নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক ভোরের কাগজসহ বেশ কয়েকটি গনমাধ্যম। সেই সংবাদ নজরে আসলে শনিবার বিকালে রৌমারী বিল সরেজমিনে পরিদর্শন করতে যান জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদসহ জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা। রৌমারী বিল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন- “রৌমারী বিল অনন্য পর্যটন শিল্প হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।”

এসময় রৌমারি বিল কেন্দ্রিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ বলেন- “রৌমারী বিলের অপরূপ দৃষ্টি নন্দন ও অবারিত জলরাশি সবাইকে মুগ্ধ করে। দর্শনার্থীদের চলাচলের সুবিধার জন্য রৌমারী বিলের মাঝে রাস্তাটি কয়েকটি কালভার্টসহ পাকা রাস্তা করা হবে। এর সাথে এখানে বসার জায়গা, পাবলিক টয়লেটসহ সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য সোনালু, জারুল ফুলের গাছ লাগানো হবে। যাতে দৃষ্টি নন্দন হয়। বিলের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ ওপর থেকে দেখার জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মানের চেষ্টা করা হবে। এই বিলে পাখির ও মাছের অভয়াশ্রম করতে পারি। একই সাথে বৈদ্যুতিক বাতিসহ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলে নারী দর্শনার্থীদের জন্য সুবিধা হবে।”

সবশেষে জেলা প্রশাসক মো: ইমরান আহমেদ বলেন- “ এসব করার জন্য আমরা জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ এক সাথে কাজ করবো। এর বাইরেও বড় ধরনের প্রকল্পের জন্য আমরা বেসরকারী বিমান ও পর্যটন মন্ত্রানলয়ের সাথে কথা বলে রৌমারী বিলকে বড় ধরনের একটি পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাবো।”

জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঝাওগড়া ইউনিয়নের শেখ সাদী গ্রামের বর্ষা মৌসুমে ৩০০ একর জমির এই বিল পরিনত হয় গরীবের টাঙ্গুয়ার হাওরে। এর সৌন্দর্য্য টানে ভ্রমন পিয়াসুদের। নির্মল বাতাস ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশের টানে প্রতিদিন বিলের পাড়ে ছুটে আসে জেলা ও জেলার বাইরের মানুষ। এছাড়াও শহরের কোলাহল ও কর্মব্যস্ততায় যখন মন ও শরীর ক্লান্ত হয়ে উঠে তখন সেই ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে শত শত শহরবাসী সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভীড় করে রৌমারি বিলে।

বিল,পর্যটন,ডিসি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত