জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে ১০৩৯ একর জমি বিক্রি

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১৬:১৭ | অনলাইন সংস্করণ

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

জীবিত মা-বাবা ও স্বামীকে মৃত দেখিয়ে ও মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে ভুয়া মালিকা সেজে প্রায় ১ হাজার ৩৯ একর জমি বিক্রি করেছে একটি সিন্ডিকেট। এমন ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এ ঘটনার সাথে পার্শ্ববতী নীলফামারী জেলার ডিমলা সাব-রেজিস্ট্রার মনীষা রায় ও ডিমলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান চৌধুরীসহ নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুরের একটি সিন্ডিকেট জড়িত। ইতোমধ্যে এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

সড়েজমিনে গিয়ে জানা যায়, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা মৌজায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামের প্রায় দুই হাজার ব্যক্তি জমি রয়েছে। ওই জমি গুলোর কিছু জমি তিস্তা নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে কিছু জমি তারা চাষাবাদ করে আসছে। এমতাবস্থায় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কিশামত মেনান নগর গ্রামের মোহাম্মদ আলী সরকারের পুত্র সফিয়ার রহমান ও পীরগাছা উপজেলার গুয়াবাড়ি গ্রামের শাহ মকবুল হোসেনের পুত্র শাহ মো. মেহেদী হাসান নামে ওই দুই ব্যক্তি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী এলাকার জহির প্রমানিকের পুত্র ছফের আলীসহ কয়েকজনকে ম্যানেজ করেন একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে।

ওই সিন্ডিকেট ডিমলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান চেধুরীর সহয়োগিতায় চরের প্রায় ১ হাজার ৩৯ একর জমির ভুয়া মালিকার কাগজপত্র তৈরী করেন। গত ২২ জুন ডিমলা সাব রেজিস্ট্রার মনীষা রায়কে ম্যানেজ করে ২৭ জন ভুয়া মালিক সেজে সফিয়ার রহমান ও শাহ মেহেদী হাসানের কাছে ১ হাজার ৩৯ একর ১৬ শতক জমি পাওয়ার অব অ্যাটর্নীর মাধ্যমে বিক্রি করেন। যার দলিল নং- ৩২৫৯/২৩, ৩২৬০/২৩, ৩২৬১/২৩, ৩২৬২/২৩, ৩২৬৩/২৩।

কিন্তু ৩২৫৯/২৩ দলিলে দাতা সাহেরা খাতুন তার স্বামী আব্দুল আজিজকে মৃত দেখালেও প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী জীবিত রয়েছেন। শুধু তাই নয় সাহেরা খাতুনের মৃত দেখানো স্বামী আব্দুল আজিজ ৩২৬১/২৩ নং দলিলে দাতা হিসেবে জমিও বিক্রি করেছেন। ৩২৬২/২৩ নং দলিলে দাতা মোবারক হোসেন ও বাহাদুর হোসেন তাদের পিতা আব্দুল মালেককে মৃত দেখিয়েছেনে।

সড়েজমিনে গিয়ে দেখা যায় আব্দুল মালেক জীবিত আছেন। ৩২৬১/২৩ নং দলিলে দাতা আব্দুল লতিফ ও আব্দুস ছামাদ তাদের পিতা আবু তালেবকে মৃত দেখালেও সড়েজমিনে গিয়ে দেখা যায় আবু তালেব জীতিব রয়েছেন। ৩২৬৩/২৩ নং দলিলে দাতা মনতাজ আলী তার পিতা ওয়াহেদ আলী ও দাতা জাবেদ আলী তার মাতা জোবেদা খাতুনকে মৃত দেখালেও সড়েজমিনে দেখা যায় তারাও জীবিত আছেন।