চট্টগ্রামে শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে নিচু এলাকা ফের সয়লাব হয়ে গেছে। নগরীর অধিকাংশ এলাকায় আবারও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বড় সড়কে পানি জমে থাকায় পরীক্ষার্থী ও চাকরিজীবীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক ঘোষণায় দুর্ভোগের কারণে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেয়। সকাল ১০ টার পরিবর্তে পরীক্ষা শুরু হয় বেলা ১১টায়। এতে শিক্ষার্থীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
এদিকে বৃষ্টিতে হালিশহর, আগ্রাবাদ সিডিএ ও শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, ছোটপোল, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা, ফিরিঙ্গিবাজারের একাংশ, কাতালগঞ্জ, কেবি আমান আলী রোড, চান্দগাঁওয়ের শমসের পাড়া, ফরিদার পাড়া, পাঠাইন্যাগোদা, মুন্সীপুকুর পাড়, মুরাদপুরের বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও অলিগলি পানিবন্দি হয়ে পড়ে। সড়কে কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমরপানি জমে থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক অটোরিকশা বিকল হয়ে যায়। লোকজনকে কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়ায় প্যাডেলচালিত রিকশায় চলাচল করতে হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
চট্টগ্রামের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সে সাথে অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান, চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। যেসব এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে বা হবে, সেসব এলাকায় পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা আছে। চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। চট্টগ্রাম নদী বন্দরে এক নম্বর নৌ-সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮৩ দশমিক ৯ মিলিমিটার।