স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দরকার স্মার্ট গভর্নমেন্ট : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১৯:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য দরকার স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট। এ চারটি স্তম্ভকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করতে সরকার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম কাজ স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করা। সে লক্ষ্যে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ক্রিয়েটিভ, ইনোভেটিব, প্রবলেম সলভার তথা ফিউচার স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে তৈরি করতে ইতিমধ্যে সারাদেশে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রামে ‘নলেজ পার্ক’র ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করা হয়েছে। সুতরাং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দরকার শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের আস্থা।
রোববার (২৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়মে বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের উদ্যোগে ‘নলেজ পার্ক চট্টগ্রাম’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নগরের চান্দগাওঁয়ে নলেজ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
৯ দশমিক ৫৫১ একর জায়গায় পার্কটির নির্মাণব্যয় প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা। পার্কটিতে প্রতি বছর ৩ হাজার তরুণ তরুণী সরাসরি প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে। পার্কটিতে ১ হাজার তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সেখানে একটি সিনেপ্লেক্স ও একটি ডরমিটরি নির্মাণ করা হবে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্টার্টআপ বিজনেস শুরু করার পাশাপাশি সুস্থ ও সুষ্ঠু বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন করে প্রাইমারিতে ৫ হাজার এবং স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় আরো ১০ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে স্কুল পর্যায়ে ৩০০ ‘স্কুল অব ফিউচার’ স্থাপন করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে আরো ১ হাজার স্কুল অব ফিউচার বা স্মার্ট স্কুল স্থাপন করা হবে। সেখানে শিক্ষার্থীরা রোবটিক্স, লেগো, ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেদের তৈরি করতে পারবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং কমিশন সেন্টার নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২-৩ মাসের মধ্যেই সেটি উদ্বোধন করবেন।
আইসিটি সচিব শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সম্মানিত অতিথি ছিলেন।
বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লাহ, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।