ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

“জাতীয় স্বার্থ ও মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য করে আন্তর্জাতিক হওয়া অগ্রহণযোগ্য”

“জাতীয় স্বার্থ ও মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য করে আন্তর্জাতিক হওয়া অগ্রহণযোগ্য”

জাতীয় স্বার্থ ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য করে আন্তর্জাতিক হওয়া অগ্রহণযোগ্য। নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধারণ ব্যতিরেকে আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ উন্নয়ন সূচকে অর্থনৈতিক উন্নতির পরিচায়ক হলেও তা আনন্দদায়ক নয়। তা শুধু অর্থ-বিত্তের নির্দেশক, সুখ সেখানে অনুপস্থিত। শনিবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছায়া জাতিসংঘের সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজম এসব কথা বলেছেন।

তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তি ও যোগাযোগের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও বিশ্বায়নের প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রা, অভ্যাস, রুচি, পছন্দ, নিত্য অপরিহার্য গ্রহণ-বর্জনসহ ব্যবসায়, অর্থনীতি, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম ও অগ্রাধিকারেও বিশেষ পরিবর্তন লক্ষণীয়। ব্যবসায় ও বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, নতুন বাজার সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দাপুটে অংশগ্রহণ নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলায় গ্রহণযোগ্য কৌশল। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বিশ্বায়নের এই অভিঘাত মোকাবেলায় বাংলাদেশ তারুণ্যের উপরই নির্ভর করছে। তরুণদের নিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীল আচরণ গড়তে পারে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ। প্রথাগত শিক্ষার বাইরে যৌথ সংগঠনমূলক কার্যক্রম তরুণদের সমকালীন হতে ও অপরিহার্য সক্ষমতা অর্জনে সহায়ক। ছায়া জাতিসংঘের সম্মেলন যুবসমাজের মাঝে কুটনীতির শিষ্টাচারসহ জাতিসংঘের মূল্যবোধ বিস্তারে খুবই কার্যকর।

তবে এই ধারাটি সঠিকভাবে চর্চিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। তিনি এ ধরনের যৌথ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পৃষ্ঠপোষণার আহবান জানান। এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার শ্রী মনোজ কুমার, রাবি সহযোগী অধ্যাপক মো. ইমরান হোসেন, আল ইমরানসহ আরউইমুনার সংগঠক ও ছায়া সম্মেলনের প্রতিনিধিবর্গ।

তিন দিনব্যাপী এ ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনটি ২৪ আগস্ট ২০২৩ শুরু হয়ে ২৬ আগস্ট ২০২৩ শেষ হয়। এ সম্মেলনে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

স্বার্থ,অগ্রাহ্য,আন্তর্জাতিক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত