নারায়ণগঞ্জে আফজাল হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ২০:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লার দেওভোগে বাঁশমুলি এলাকার আফজাল হোসেন (৪২) হত্যা মামলায় অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল প্রধান (৪৫)। সে দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রাজু প্রধানের চাচা এবং কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাকে গ্রেপ্তার করায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে আফজাল হত্যা মামলায় রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এরআগে মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশের একটি টিম কাশিপুর বাংলাবাজার প্রধান এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজু প্রধানকে গ্রেপ্তার করে। রাজুর বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা রয়েছে।
নিহত আফজালের স্ত্রী ইতি আক্তার জানান, আফজাল হত্যাকান্ডের সঙ্গে সন্ত্রাসী রাজু প্রধান সহ তার বাহিনীর লোকজন জড়িত। আমরা হত্যাকান্ডে যাদের বিরুদ্ধে মামলায় আসামী করছি তাদের ছাড়াও অনেকে জড়িত রয়েছে এটা শুরুতে আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। পুলিশ তদন্ত করে খুজে বের করবে কারা জড়িত এবং কারা জড়িত নয়। জুয়েল প্রধানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে আমি শুনেছি, তদন্তকারী অফিসার তদন্ত করে খুজে বের করছে কে জড়িত কে জড়িত নয়। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই, হত্যাকান্ডে যে কোন লোক জড়িত তাকেই গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আফজাল হত্যায় রাজু প্রধানের সম্পৃক্ত থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সন্ত্রাসী রাজু প্রধানের চাচা হলো জুয়েল প্রধান। এ মামলায় রাজু প্রধান সহ একাধিক আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জুয়েল প্রধানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকান্ডের রহস্য খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আসা করছি।
প্রসঙ্গত সকাল ৯টার দিকে বাশমুলি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন আফজাল। এ সময় রাজু বাহিনীর প্রধান সন্ত্রাসী রাজু প্রধান, রাসেল, তার ভাই রাশেদসহ ১৫-১৬ জন মিলে তাকে হাসেমবাগ এলাকায় তুলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
নিহত আফজাল দেওভোগের বাংলা বাজার এলাকার এবাদুলের ছেলে। আফজাল হত্যায় তার বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।