নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন টানবাজার এস.এম. সালেহ সড়ক সংলগ্ন এলাকায় বুধবার ৩০ আগস্ট অভিযান পরিচালনা করে কিশোর গ্যাং চক্রের লিডার রাসেলসহ ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর একটি টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, বন্দরের কোদপাড়া আজগর আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ও চাঁদপুর জেলার হাইমচর এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান ও রেনু বেগম দম্পত্তির পুত্র কিশোর গ্যাং লিডার মো. রাসেল (৩০), বন্দরের আমিন আবাসিক এলাকার ভাড়াটিয়া চাঁদপুর সদরের ১০১ দক্ষিণ বাকরপুর এলাকার মো. হারুনুর রশিদ খানের পুত্র মো. রিয়াদ হোসেন খান (২৩), বন্দর সালেহনগরের মৃত স্বপনের পুত্র মো. রবিন (১৮), রুপালী আবাসিক এলাকার মো. জাফর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ও কুমিল্লার মুরাদনগর থানাধীন সিকাইল এলাকার বাসিন্দা মো. সেলিম মিয়ার পুত্র মো. আশরাফুল আলম ফয়সাল (১৮) ও বন্দরের বাবুপাড়া হামদু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ও শেরপুরের নকলা থানাধীন সালুয়া এলাকার মো. শফিকুল ইসলামের পুত্র মোঃ ইমাম হাসান (১৬)। এসময় ৪ টি সুইচ গিয়ার ও ১ টি নাকোল ডাস্টার উদ্ধার করা হয়।
৩০ আগষ্ট বুধবার বিকেলে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা ঘাটে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে অস্ত্রসস্ত্রের মহড়া ও দাপট প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিশৃঙ্খলা এবং অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তারা জনমনে ত্রাসের সৃষ্টির মাধ্যমে জনসাধারণের নিকট হতে চাঁদাদাবী করে। এলাকাবাসী তাদের হিংস্রতা, অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে ছিনতাই ও চাঁদা দাবীর উদ্দেশ্যে দলগতভাবে শক্তির মহড়া, দাপট প্রদর্শনসহ গুরুতর ধর্তব্য অপরাধ সংঘটন করে নারায়ণগঞ্জ জেলার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় দলবদ্ধ হয়ে জনমনে ভয়ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করে ছিনতাই এবং বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটিয়ে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।