শোকাবহ আগস্ট নিয়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভা
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ২০:২৯ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হারানোর বাঙ্গালি জাতীয় শোকাবহ আগস্টে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মাসব্যাপী কর্মসূচির সমাপনীতে বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে আলোচনা সভা নগরীর চট্টগ্রাম একাডেমি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম মন্টুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান সমাজ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড.অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.সরফরাজ খান চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।
বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, জেলার সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট ইফতেখার রাসেল,আবদুল মালেক খান, এডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, মঈনুল আলম খান, এডভোকেট কামরুল আযম, কোহিনুর আকতার, নুরুল হুদা চৌধুরী, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, পংকজ রায়, শফিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার এস. বি চক্রবর্তী, ইয়াছির আরাফাত, কামাল উদ্দিন, রাজীব চন্দ, ইঞ্জিনিয়ার ইয়াকুব মুন্না, দীপন দাশ, মাহি আল জিসা, জোনায়েদ জিকু, নাসির আলী পান্না, ইসমাঈল হোসেন শুভ, ডা. শওকত ইমরান, খোরশেদ আলম, ডা. মনিরুল ইসলাম, আবদুর রহিম, এডভোকেট আবছারুল হক, আশফাক আহমেদ, হাছান মুরাদ, সুমন দাশ, সোনিয়া চৌধুরী প্রমূখ।
সভায় প্রধান অতিথি ড. অনুপম সেন বলেন, ইতিহাসের নিখাদ সত্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙ্গালি কোনো দিন স্বাধীনতার স্বাদ পেতো না। মুক্তির জন্য একটা জাতিকে কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় তা বঙ্গবন্ধুই দেখিয়েছেন পুরো বিশ্ববাসীকে।একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন একজন কর্মী তার মেধা প্রজ্ঞা দূরদর্শীতা দেশপ্রেম ও অদম্য সাহসে পরিণত হন বাঙ্গালির অবিসংবাদিত নেতায়। সমকালীন বিশ্ব রাজনীতিতে তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক ও অদ্বিতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত ধ্বংসযজ্ঞের উপর দাড়িয়ে নানান দেশী বিদেশী চক্রান্তের মধ্যেও নিঃস্ব একটা দেশকে পূনঃর্গঠন করে মাথা উঁচু করে দাড়ানোর প্রাক্কালে পৃথিবীর নির্মম নৃশংসতার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে দেশকে খুনী চক্র বিদেশী প্রভুদের মদদে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অপশক্তির হাতে তুলে দেয়। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আন্তর্জাতিক চক্রের প্রত্যক্ষ মদদেই একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতে এই পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। '৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর বাঙ্গালির রক্তস্নাত গৌরবময় ইতিহাস বিকৃতির কম অপচেষ্টা হয়নি; বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু কালের পরিক্রমায় দেশ ও মানবপ্রেমের এই বিশ্বজনীন প্রতিভূপুরুষ চিরস্থায়ী আসন পেতেছে বাঙ্গালি মননে। ব্যক্তি মুজিবের মৃত্যু হলেও অমরত্ব পেয়েছে তার রাষ্ট্রস্বপ্ন আর আদর্শিক অবস্থান। তাই বাঙ্গালি জাতির অনাগতকালের পথপরিক্রমায় প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধুর সর্বব্যাপী আদর্শিক পরিমন্ডলই আশ্রয়স্থল।