চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিদ্যুৎ পৃষ্টে মো. রবিউল হোসেন রুবেল (৩০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় পটিয়া উপজেলা ১০নং ধলঘাট ইউনিয়নের কৃষ্ণকালী বাজার এলাকায় মসজিদে পিছনে স্থানীয় আজিজের পোল্ট্রি ফার্মে বৈদ্যুতিক তারে এ ঘটনা ঘটে। সে একই ইউনিয়নের ঈশ্বর খাইন মাসুদ মেম্বারের বাড়ি আবদুল মালেক এর ছোট ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ ও প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, ১০নং ধলঘাট ইউনিয়নের কৃষ্ণকালী বাজার এলাকায় মসজিদে পিছনে স্থানীয় আজিজের পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। সকালে জমিতে ধানের চারা রোপন করার জন্য রুবেল ও তার ভাগিনাসহ অপর এক কৃষক ধানের চারা কাঁধে করে ফার্মের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন ফার্মের ঝুলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে পৃষ্ট হয়ে রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে সংযোগ বন্ধ করলে তাকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফার্মের মালিক আজিজ একই এলাকার শফিকুল ইসলামের পুত্র। সম্পর্কে রুবেল ও আজিজ চাচাতো ভাই বলে জানাগেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পটিয়ার ওসি প্রিটন সরকার।
নিহত রুবেল এর বন্ধু রাজীব দেব কান্না কণ্ঠে বলেন , রুবেল অল্প সময় এভাবেই না ফেলার দেশে চলে যাবে কেউ কল্পনা করেনি। সে একজন সৎ ও সামাজিক, পরিশ্রমী যুবক ছিল। তার সাথে এলাকার মুসলিম ও হিন্দু সকল সম্প্রদায়ের লোকের সাথে সু সম্পর্ক ছিল। রুবেল কৃষি কাজের পাশাপাশি গরু, মহিষের ক্রয় করে লালন পালন করে কোরবানে বিক্রি করে।
নিহতের ভাই নুর হোসেন ও আবুল হোসেন জানান, তাদের ধানি জমিতে ধান চারা রোপন করতে সকালে ঘর থেকে বের হয়ে আর জীবিত ফিরে আসেনি। তাদের ছোট ভাই রুবেল কঠোর পরিশ্রমী ছিল। এলাকার সবার সাথ তার ভালো সম্পর্ক ছিল। একটি দূর্ঘটনায় ঘটেছে এতে তাদের কারো প্রতি কোন অভিযোগ নেই বলে জানান।
এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার জানান, বিদ্যুৎ পৃষ্টের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিল। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে মৃত্যুতে নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ নাই। কোন অভিযোগ না থাকায় স্থানীয় মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে লাশ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটা অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে পোল্ট্রি ফার্মের মালিক আজিজকে একাধিকবার ফোন করা হলে ফোন কল রিসিভ করেনি।