সিরাজগঞ্জে নিম্নাঞ্চলে বন্যা কবলিত ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:৩০ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

পাহাড়ী ঢল ও ভারি বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে যমুনার পানি বিপদসীমার ২৩ সেঃ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন অঞ্চল। এতে নিম্নাঞ্চলের বহু পরিবার এখন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনাসহ তার শাখা নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে বিশেষ করে যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম এখন পানিতে ভাসছে এবং বহু পরিবার এখন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে যমুনার পানি বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টের চেয়ে কাজিপুর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার বেশি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সিরাজগঞ্জে এবার বন্যার আশংকা রয়েছে। এদিকে যমুনার তীরবর্তী উল্লেখিত উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক কাচা পাকা রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। এতে অনেক অঞ্চলে যোগাযো ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ও কলাগাছের ভেলাই যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। নিম্নাঞ্চলের এমন পরিস্থিতি প্রায় সপ্তাহ ধরে। ইতিমধ্যেই অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে গেছে। এতে বিশেষ করে চরাঞ্চল এলাকার মানুষ চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।

এছাড়া যমুনার তীরবর্তী অনেক স্থানে ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে। অবশ্য ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। এদিকে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেইসাথে ভুতের মোড়সহ অনেক ভাঙ্গনও শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ করছে। ভাঙ্গন ও নিম্নাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর ত্রাণ সামগ্রী চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে তালিকা পেলে ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।