কক্সবাজার-৪ আসনে বিএনপিতে এবারও একক প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:৫০ | অনলাইন সংস্করণ
সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, উখিয়া (কক্সবাজার)
কড়া নাড়ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরকার পতনের মাধ্যমে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলন চলমান থাকলেও বিভিন্ন সংসদীয় আসনে প্রার্থী নিয়ে আলোচনা চলছে আনাচে কানাচে। তারই ধারাবাহিকতা কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের রাজনৈতিক অঙ্গনে। কে হবেন আগামীর কান্ডারি?
তথ্যমতে, কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনটি ১১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। কক্সবাজার ৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের মোট ভোটার ৩,২৮,৩৮৯ জন। এর মধ্যে উখিয়া উপজেলায় ১,৪৭,৩১০ জন ও টেকনাফ উপজেলায় ১,৮১,০৭৯ জন ভোটার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করবে। লক্ষী আসন হিসাবে খ্যাত কক্সবাজার-৪ এ স্বাধীনতার পর থেকে যে দলের প্রার্থী সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তার দলই সরকার গঠন করেছেন।
এই আসনটিতে স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন কক্সবাজার-সদর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের পিতা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যক্ষ ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী । তখন শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেন। অধ্যক্ষ ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী রামু থানার বাসিন্দা ছিলেন। এডভোকেট নুর আহমদকে পরাজিত করে ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন।
১৯৭৯ সালে ২য় সংসদের নির্বাচনে মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহজাহান চৌধুরী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এইবার মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার গঠন করেন। শাহজাহান চৌধুরী উখিয়া থানার বাসিন্দা ছিলেন। শাহজাহান চৌধুরী পরে জিয়াউর রহমান সরকারের জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত হন।অধ্যক্ষ ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীকে পরাজিত করে শাহজাহান চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন।
১৯৮৬ সালে ৩য় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য ছিলেন আ হ আ গফুর চৌধুরী। তিনি জাতীয় পাটির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। এইবার হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পাটি সরকার গঠন করেন। আ হ আ গফুর ছিলেন টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। শমশের আলম চৌধুরীকে পরাজিত করে আ হ আ গফুর চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন।
১৯৮৮ সালে ৪র্থ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য ছিলেন আবদুল গনি । তিনি ছিলেন জাতীয় পাটি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। এইবারও লেঃ জেনারেল এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পাটি সরকার গঠন করেন। আবদুল গনিও ছিলেন টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। আ হ আ গফুর চৌধুরীকে পরাজিত করে আবদুল গনি এমপি নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালে ৫ম সংসদে নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী ২য় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । এইবার খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার গঠন করেন । অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীকে পরাজিত করে শাহজাহান চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে ৩য় বারের মতো এবং টানা ২ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী। এইবারও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার গঠন করেন। আবদুর রহমান বদিকে পরাজিত করে শাহজাহান চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এইবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেন। অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। শাহজাহান চৌধুরীকে পরাজিত করে অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী এমপি নির্বাচিত হন।
২০০১সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী ৪র্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এইবার খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার গঠন করেন। অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীকে পরাজিত করে শাহজাহান চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুর রহমান বদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এইবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেন। আবদুর রহমান বদি টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। শাহজাহান চৌধুরীকে পরাজিত করে আবদুর রহমান বদি এমপি নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুর রহমান বদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এইবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেন। তাহা ইয়াহিয়াকে পরাজিত করে আবদুর রহমান বদি এমপি নির্বাচিত হন।
২০১৮ সালে ১১ তম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহিন আকতার চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এইবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেন। শাহিন আকতারের পিতার বাড়ী উখিয়া উপজেলায় ও শশুর বাড়ী টেকনাফ উপজেলায়। শাহজাহান চৌধুরীকে পরাজিত করে শাহিন আকতার চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন।
বহুল আলোচিত এই কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফ আসনের বিএনপির রাজনীতিতে অপ্রতিরোধ্য সাবেক সাংসাদ শাহজাহান চৌধুরী। অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ দায়িত্ব পালন করছেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি হিসেবে । অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে পরিচিত এই রাজনীতিবিদ ২৬ বছর বয়সে অর্জন করেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার গৌরব। এইছাড়াও ছিলেন একবারের ইউপি চেয়ারম্যান, চার বারের সংসদ সদস্য। পাশাপাশি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও ৮ম জাতীয় সংসদে তিনি গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের ভূমিকায়। এছাড়াও ২০০১ সালে তিনি সংসদ অধিবেশনে ২ দিন স্পীকারেরও দায়িত্ব পালন করে ছিলেন।
শাহজাহান চৌধুরী কক্সবাজার জেলায় উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নে ১৯৫২ সালে ৩১ ডিসেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে সমাজ তত্ত্ব নিয়ে বিএ (অনার্স) সম্পন্ন করেন। শাহজাহান চৌধুরী কক্সবাজার জেলা বিএনপির দুই বারের সভাপতি। তিনি বিএনপির তৎকালীন কক্সবাজার মহকুমা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ন আহবায়ক ছিলেন এবং দলকে শক্তিশালী করার জন্য বিশাল ভুমিকা পালন করেন।
বিএনপির একাধিক সুত্রে জানা যায়, বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যবধি এই আসনটিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষ থাকা দলীয় নেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শাহজাহান চৌধুরী। তাই আসনটি ধরে রাখার জন্য বিএনপির হাইকমান্ড প্রতিবারই শাহজাহান চৌধুরীর উপর ভরসা রেখেছেন। রাজনৈতিক বিজ্ঞজনদের মতে আগামী সংসদ নির্বাচনে আসনটি ধরে রাখতে হলে শাহজাহান চৌধুরীকে মনোনয়ন প্রদান করতে হবে। কারন বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তায় দিক দিয়ে শাহজাহান চৌধুরীর ধারে কাছেও কেউ নেই। শাহজাহান চৌধুরীকে টেক্কা দিয়ে তার জনপ্রিয়তায় এখনো কেউ ভাগ বসাতে পারেননি বা তার জনপ্রিয়তাকে টেক্কা দেওয়ার মতো জনপ্রিয় সুযোগ্য নেতা এখনও উখিয়া-টেকনাফ বিএনপিতে সৃষ্টি হয়নি। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যান্য নেতারা এলাকা কেন্দ্রীক নেতা। শাহজাহান চৌধুরীর ক্লিন ইমেজ ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা,সুন্দর আচরণ, অমায়িক চলাফেলার কারনে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের চাইতে তার আলাদা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে ভোটারদের কাছে।
সচেতন মহলের মতে, স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত অনেক নেতা ও জনপ্রতিনিধি কালের আবর্তনে ও বয়সের কারনে হারিয়ে গেলেও শাহজাহান চৌধুরী এখনো একদিকে দলের মধ্যে যেমন তার আধিপত্য বজায় রেখেছেন, ঠিক তেমনি ভোটারদের মধ্যেও জনপ্রতিনিধি হিসাবে গ্রহণযোগ্যতার শীর্ষ অবস্থান বজায় রেখেছেন। তার সমসাময়িক কোন নেতাই উখিয়া-টেকনাফের রাজনীতির মাঠে রাজনীতিতে এখন একজনও নেই। সবাই মৃত্যু বরণ করেছেন। কিন্তু শাহজাহান চৌধুরী এখনো দলীয় প্রোগ্রাম, সমাজিক অনুষ্ঠানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ৩০ বছরের টকবকে যুবককের মতো। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতা পর উখিয়া উপজেলা থেকে নির্বাচিত একমাত্র সংসদ সদস্য হলেন শাহজাহান চৌধুরী। পারিবারিক ঐতিহ্য, প্রভাবশালী ও কৌশলী রাজনীতিবিদ হিসাবে তার ধারে কাছেও নেই বর্তমান সময়ের উখিয়া-টেকনাফ উপজেলার কোন রাজনীতিবিদ। ভোটের রাজনীতিতে শাহজাহান চৌধুরীর তুলনায় শাহজাহান চৌধুরীই। তিনি প্রায় ৫০ বছর ধরে বিএনপি একক প্রার্থী হিসাবে ভোট যুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন বিএনপির পতাকাকে বিজয় করার জন্য।
পুরো কক্সবাজার জেলারই সিনিয়র রাজনীতিবিদদের মধ্যে এক বা দুই এ তার বর্তমান অবস্থান । সর্ব দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে রয়েছে তার গ্রহণ যোগ্যতা।
সুশীল সমাজের মতে, আগামী সংসদ নির্বাচন যদি প্রতিযোগীতা মূলক নির্বাচন হয় তাহলে শাহজাহান চৌধুরীকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হওয়া যে কারো জন্য হবে শূন্য পায়ে হিমালয়ের পাহাড় ডিঙ্গানোর মতো।
উল্লেখ্য, আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থী থাকলেও বিএনপিতে ২য়, ৫ম, ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদের সংসদ সদস্য শাহাজাহান চৌধুরী এবারও একক প্রার্থী।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী বলেন‘গুম, খুন থেকে বাঁচতে আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় চায় না দেশের মানুষ। এসব থেকে বাঁচতে মানুষ বিএনপিকে আবারো ক্ষমতায় দেখতে চায়। তাই উখিয়া-টেকনাফের মানুষ আমাকে ভোট দেবে।’
তিনি আরো বলেন, জনগন তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। বর্তমান সরকারের আমলে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার হরন হয়েছে,তাই এই সরকারের আমলে নিজের ভোট নিজে দেওয়া সুযোগ নেই। এর জন্যই আগামী সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দিতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকার গুম, খুন, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া ক্ষেত্রে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কি সেটাই ভুলে গেছে। মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হরন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে মরিয়া। এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য বাংলার মানুষ মুখিয়ে আছে। তাই এখন দরকার সুষ্ঠু সুন্দর ভোট প্রদানের ব্যবস্থা।
তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র এখন নির্বাসিত, দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, দেশব্যাপী পথে-ঘাটে শুধু লাশের মিছিল। বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানী-পানি নিয়ে হাহাকার চারদিকে। ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে গুম, গুপ্তহত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যা, নারী ও শিশুদের ওপর পৈশাচিকতা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, টাকা পাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মহৌৎসব চলছে। ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশে এখন এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজমান। জনগণের অধিকার আদায়ে তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা আবারও পুনঃ:প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
আগামী দিনে নেতাকর্মীদের আন্দোলনের লক্ষ্য হবে ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তি, হারানো ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ জনগণের মানবিক মর্যাদা সুরক্ষা করা জন্য বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকলেই কাজ করা।
উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী পৃথক ভাবে জানান, শাহজাহান চৌধুরী এই পর্যন্ত ৭ বার সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন, তার মধ্যে ৪ বার নির্বাচিত হয়েছেন। হেরেছেন ৩ বার।
তবে, হারার মূল কারণ ছিলো ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে শাহজাহান চৌধুরী ও এড. শাহজালাল চৌধুরী দুই ভাই একসাথে নির্বাচন করায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মঈন উদ্দিন – ফখরুদ্দিন সরকারের সুক্ষ্ম ভোট কারচুপির কারণে তিনি হেরেছেন। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দিনের ভোট রাতে করাতে হেরেছেন। ১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে ভোট বর্জন করেছেন এবং ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে অপ্রাপ্ত বয়সের কারণে তিনি অংশ নেন নি।
প্রকৃতপক্ষে, সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে শাহজাহান চৌধুরীকে ভোটের রাজনীতিতে কোনো প্রার্থী-ই হারাতে পারেননি এবং আগামীতেও কেউ পারবেনা।
তারা আরও জানান, আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে উখিয়া-টেকনাফের শাহাজাহান চৌধুরী বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন।
টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. হাসান সিদ্দিকী জানান, ওয়ান ইলেভেনে যখন দলের দুঃসময় চলছিল এবং বেশীরভাগ নেতাকর্মী গা-ঢাকা দিয়েছিলেন তখন তৎকালীন বিএনপির মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সাথে সহচর হিসেবে থেকে সারাদেশে দল পুর্নগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন শাহাজাহান চৌধুরী।##