দু’জনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

বরিশালে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শ্রমিক নেতা মান্না ও কাউন্সিলর মর্তুজার ধস্তাধস্তি

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:০৩ | অনলাইন সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

ব্যস্ত সড়কে দিনেদুপুরে অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ধস্তাধস্তি করেছে বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রইজ আহমেদ মান্না এবং ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মর্তুজা আবেদিন।

রোববার বেলা ১১টার দিকে নগরীর লঞ্চঘাট সংলগ্ন সহকারি কমিশনার ভূমি কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার চেস্টার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনার পর দুইজনকে থানায় দুইজনকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

বিষয়টি দুপুরে নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন। এই ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মান্না অভিযোগ করেছেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মর্তুজা পিস্তল বের করলে স্থানীয়রা তাকে (মর্তুজা) পুলিশে দিয়েছে।

অন্যদিকে মর্তুজার অভিযোগ, মান্না তার (মর্তুজা) ওপর হামলা চালিয়ে লাইসেন্স করা পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না বলেন, ভূমি অফিসে আমি কাজে গিয়েছিলোম। গেটের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় মর্তুজা বের হয়। তখন মর্তুজা বলেন, ‘তুই বাইচ্চা আছ মরো নাই।’ আমি (মান্না) বলি, ‘আমি মরবো কেন?’ তখন মর্তুজা বলেন, ‘তোরে তো আমিই মেরে ফেলবো’। তারপরও অটোরিক্সা ওঠে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রিভলভর বের করছে। তারপর স্থানীয়রা মর্তুজাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

জাতীয় পার্টির মহানগরের সদস্য সচিব ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মর্তুজা আবেদীন অভিযোগ করে বলেন, মান্না তার সহযোগিদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অর্তকিতভাবে হামলা চালায়। এসময় মান্না তার (মর্তুজা) সাথে থাকা লাইসেন্স করা পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকেই থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পিস্তলটি পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের হেফাজতে আছে। আমরা ঘটনা তদন্ত করে দেখবো। তারপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।