নেত্রকোণায় হাওড়ে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আব্দুল কুদ্দুছ (৩৮) নামের এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একই কারণে অনিল দাস (৪৫) ও দুলাল তালুকদার (৬০) নামের দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত তিনটা থেকে চারটার দিকে জেলার কলমাকান্দা ও মোহনগঞ্জ উপজেলার হাওরে এই ঘটনা ঘটে। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দিবাগত ভোররাতে কলমাকান্দা উপজেলার সোনাডুবি হাওড়ে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যায় ৭-৮ জন জেলে। রাত তিনটার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হলে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় ছয় ব্যক্তি সাঁতরে তীরে উঠলেও আব্দুল কুদ্দুস (৩৮) ও অনিল দাস (৪৫) নামে দুই জেলে নিখোঁজ হন। পরে সোমবার সকালের দিকে আব্দুল কুদ্দুসের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তবে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত অনিল দাসকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভোর থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মোহনগঞ্জ উপজেলায় ডিঙাপোতা হাওড়ে রাতে মাছ ধরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন দুলাল তালুকদার (৬০) নামে এক জেলে। রাতে হঠাৎ ঝড়ের কারণে নৌকা ডুবে গেলে নৌকায় থাকা দু’জনের মধ্যে একজন সাতরে তীরে উঠে আসেন। এ সময় দুলাল তালুকদার পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। তাকে উদ্ধারে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার ভোররাতের আচমকা ঝড়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলার শতাধীক ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ ও অসংখ্য গাছপালা উপরে গেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। ক্ষয়-ক্ষতি বেশী হয়েছে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, মোহনগঞ্জ ও বারহাট্টা উপজেলায়। এ সব উপজেলায় ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্থ হওয়া ছাড়াও বিদ্যূতের অনেক খুঁটি ভেঙ্গে গেছে অথবা হেলে পড়েছে। এতে বিদ্যূৎ সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্ঠি হয়েছে। বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ছন্দু বলেন, ঝড়ের তান্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হওয়ার কারণে এলাকার অনেককেই খোলা আকাশের নিচে বাস করতে দেখা গেছে।
কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম (পিপিএম) ও মোহনগঞ্জ থানার এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।