কক্সবাজারে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ২৪ হাজার কর্মক্ষম নারী ও যুবদের নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে। নারী ও যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি নামে নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এই কর্মসংস্থান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের একটি তারকামানের হোটেলে আইএলও বাংলাদেশ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল আরও বলেন, প্রকল্পটি কক্সবাজারের স্থানীয় নারী ও যুবদের যথেষ্ট দক্ষ করবে, যাতে তারা সম্মানজনক ও শোভন কাজে যুক্ত হতে পারে এবং নিজেরা ব্যবসা শুরু করতে পারে।
কানাডা এবং নেদারল্যান্ডের সরকারের অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন আইএলও এই প্রকল্পটি ব্র্যাক, ইউএনডিপি এবং এফএও এর সঙ্গে পার্টনারশীপের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, "কক্সবাজার জেলার নারী ও যুবগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়নে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সার্বিক সহায়তায় কানাডা এবং নেদারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ৩০ নভেম্বর সময় পর্যন্ত বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার জেলার ১৮-৩৫ বছর বয়সী ২৪ হাজার কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যা কক্সবাজারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
প্রকল্প উদ্বোধনকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনারের প্রতিনিধি কাউন্সিলর ভিভেক প্রকাশ বলেন, "কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়ের স্থিতিস্থাপকতা তৈরির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে পেরে আনন্দিত, যারা দীর্ঘস্থায়ী আঞ্চলিক সংকটের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি, বাংলাদেশের নিজস্ব জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতির সাথে সঙ্গতি রেখে নারী ও যুবকদের দক্ষতা তৈরিতে আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা এই প্রচেষ্টায় আমাদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য অন্যান্য দেশকে আমন্ত্রণ জানাই।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের অ্যাফেয়ার্স অফ দ্যা কিংডম থিজ ওয়াউডস্টা চার্জ ডি বলেন, "নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ভালো কাজ করার জন্য তার সমর্থন প্রসারিত করতে পেরে আনন্দিত, কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে কাউকে পিছিয়ে রাখা উচিত নয় - নারী নয়, যুবক নয়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নয়, কেউ নয়।"
অনুষ্ঠানে আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাউটিয়ানেন বলেন, "কর্মজগত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বাংলাদেশের সকল মানুষকে, বিশেষ করে নারী ও যুবকদের অবশ্যই এমন দক্ষতায় সজ্জিত করতে হবে যা তাদেরকে সফল ব্যবসা শুরু করার পাশাপাশি বর্ধিত স্বয়ংক্রিয়তা, ডিজিটালাইজেশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলে সৃষ্ট কাজের সুযোগের সুবিধা নিতে সক্ষম করবে"
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক, গ্রেড-১, ডিওয়াইডি মো. আজহারুল ইসলাম খান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী, এনসিসি প্রতিনিধি নাইমুল আহসান জুয়েল বক্তব্য রাখেন। এসময় ব্র্যাক, অংশীদার জাতিসংঘ সংস্থা এফএও এবং ইউএনডিপির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।