কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ফিশারীঘাটে মাছ ধরার ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া ১২ জনের মধ্যে আরো চার জেলে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন আর সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মারা যান একজন। এনিয়ে উক্ত ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত ৫ জন মারা গেল।
চিকিৎসকেরা জানান, দগ্ধদের শরীরের ৬০-৭০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। মারা যাওয়াদের সবার এবং চিকিৎসাধীন অন্যদের শ্বাসনালি কম-বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার মারা যাওয়া তিনজন হলেন, রহিম উল্লাহ (৩৮), মোহাম্মদ শাহীন (৩৫) এবং আরমান (২২)। তারা কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আর সোমবার মারা যান কক্সবাজার সদরের বাসিন্দা ওসমান গনি (২০)। এর আগে দগ্ধ হবার পরেরদিন চমেক হতে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান আইয়ুব আলী(৪৮) নামের জেলে।
চট্টগ্রাম মেডিকেলের ৩৬ নম্বর বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারী ওয়ার্ডের সহকারী রেজিষ্ট্রার রাশেদ উল করিম জানিয়েলেন, শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ফিশারীঘাট জেটিতে নোঙর করা মাছ ধরার ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১২ জেলের ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ জেলের মৃত্যু হয়েছে। শংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ৫ জেলে। দুইজন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ জানান, কক্সবাজারের ফিশারিঘাটে নোঙ্গর তরা মাছ ধরার ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ৫ জেলে মারা গেছেন বলে জেনেছি।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ এস খালেদ গণমাধ্যমকে বলেন, চিকিৎসাধীন অন্য সবার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।