কক্সবাজারের কটেজে কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ১

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:১৫ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

কক্সবাজার শহরের কলাতলীস্থ কটেজ জোনে এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনভর এ ঘটনা চলমান থাকলেও রাত ৯ টার আগে কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম একজন আটকের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান এখনও অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। একজন আটক রয়েছে। তার নাম ঠিকানা পরে জানানো হবে।

এ ঘটনায় কিশোরীর চিকিৎসক, পুলিশ ও ঘটনাস্থলের আশে-পাশে থাকা লোকজনের দেয়া তথ্যমতে, কলাতলী এলাকার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে অবস্থিত রাজন কটেজ নামের এক আবাসিক প্রতিষ্ঠানে সোমবার রাতে এই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে ২ জন কিশোরী একটি অনুষ্ঠানের নৃত্য পরিবেশের জন্য কক্সবাজার শহরে আনা হয়েছিল কয়েকদিন আগে। যার মাধ্যমে এই ২ জন কিশোরী এসেছি ওই ব্যক্তি এই কিশোরী ২ জন একটি চক্রের হাতে তুলে দিয়ে চলে যায়। পরে ওই চক্রটি রাজন কটেজে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর মঙ্গলবার সকালে ২ জনকে ঢাকার একটি বাসে তুলে দেয়া হয়। কিন্তু ২ জনের মধ্যে একজন অতিরিক্ত রক্তরক্ষণের কারণে বাস থেকে রামু বাইপাস এলাকায় নেমে যায়। অপর জন বাস থেকে না নেমে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। রামুতে নেমে যাওয়া কিশোরী দ্রæত রামু হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের সময় চিকিৎসক ঘটনার বিস্তারিত জেনে পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাক্তার নোবেল কুমার বড়–য়া জানান, সকালে ওই কিশোরীকে চিকিৎসা প্রদান করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুল হুদা শাওন। কিশোরীর বক্তব্য পাওয়ার পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। একজন ভিকটিম চিকিৎসাধিন রয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। একজন আটক হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

এদিকে ঘটনাস্থল রাজন কটেজে ঘটনার পর থেকে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা পুলিশ হেফাজতে বলে দাবি করলেও পুলিশ এব্যাপারে কোন তথ্য স্বীকার করেননি।

এর আগেও এই কটেজ জোনে ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর ও ২৮ ডিসেম্বর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল।