সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি বলেছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা ঈদ উৎসব করি, পূজা উৎসব করি, হিন্দু-মুসলমান একসাথে করি, মিলেমিশে করি। এ সব করি আমরা বাঙালি হিসেবে, এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নাই। ধর্মের কারণে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নাই। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান, অন্যান্য ধর্মের মানুষ যারা আছেন, সবারই নিজ নিজ ধর্মের অধিকার সমুন্নত আছে। শেখ হাসিনার এই দেশ, সম্প্রিতির বাংলাদেশ। এই সম্প্রিতি বজায় রাখতে হলে শেখ হাসিনাকেই বারবার দরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পরে এদেশ সামরিক বাহিনি কর্তৃক শাসিত হয়েছে। পরে তারঁ সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য দেশে আসেন। তিনি অনেক লড়াই করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন। দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে চলে। ১৯৯৬ সালে তিনি জনগনের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচীত হন। ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে নির্বাচনে জয় লাভ করতে দেয়নি। তারা চেয়েছিল এদেশের তেল গ্যাস বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে, তিনি রাজি হন নাই। তাই তাঁকে ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হয় নাই। পরবর্তীতে জনগন তাকে ভোট দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। তার নিরলস প্রচেষ্ঠায় দেশ আজ সারা পৃথিবিতে উন্নয়নসহ অসাম্প্রদায়িকতার রোল মডেল।
মন্ত্রী আজ বুধবার (সেপ্টেম্বর) ভগবান শ্রী কৃষ্ণের ৫২৪৯তম আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে নেত্রকোণার বারহাট্টা মদন মোহন সেবাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ ও শহরের জিউর আখড়ায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায়ও বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক শাহেদ পরভেজ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট অসীত কুমার সরকার সজল, সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহম্মেদ, পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আমিরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক এডভোকেট শামছুর রহমান লিটন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক, জেলা পরিষদের সদস্য মো. লুৎফুর রহমান চঞ্চল, বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাইনুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার ববি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাজী সাখাওয়াত হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ খোকন কুমার সাহা, সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার সাহা সেন্টু, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা প্রানেশ চন্দ্র পাল, সাংবাদিক ফেরদৌস আহমাদ বাবুল প্রমুখ।