চাঁদপুরে হাত-পা বেঁধে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের বড়কুল উত্তর গ্রামে উত্তম বর্মন (৬০) ও তার স্ত্রী কাজলী রানী (৪৫) কে হাত-পা বেঁধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতের কোন এক সময়ে ওই গ্রামের পাইন্না বাড়ির (কালা শিকদার বাড়ী) দুলাল সাহার ঘরে জানালা কেটে দুর্বৃত্তরা এই ঘটনা ঘটায়।
উত্তম বর্মন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হরমন চন্দ্র বর্মনের ছেলে। তিনি ও তার স্ত্রী ঘটনাস্থল দুলাল সাহার বাড়ি কেয়ার টাকা ছিলেন। উত্তম বর্মন স্থানীয় মাছের আড়তে শ্রমিকের কাজ করতেন এবং তার স্ত্রী কাজলী রানী মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এসব তথ্য জানিয়ে উত্তম বর্মনের মেয়ে রিনা রানী বর্মন বলেন, তারা দুই বোন। তার বিয়ে হয়েছে মতলবে। সকালে এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে তিনি এসেছেন। তাদের বাড়ি লাকসাম হলেও দীর্ঘদিন হাজীগঞ্জে বসবাস করে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সবিতা সাহা জানান, সকালে ফুল তুলতে গিয়ে দেখেন উত্তম বর্মন ও তার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠেনি। ডাকার পর সাড়া শব্দ না পেয়ে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করে। ভেতরে দরজা খোলা দেখে পাশের বাসার লোকজনকে খবর দেন। পরে দেখেন দু'জনের হাত-পা বাঁধা লাশ পড়ে আছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মজিব জানান, খবর পেয়ে আমি ওই বাড়ীতে গিয়েছি। নিহতের মেয়ে রিনা রানীর সাথে কথা বলছি। সে বলেছে তার পিতা-মাতার সাথে কারো কোন দ্বন্দ্ব নেই। ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে। আমি চাই যারা ঘটনায় জড়িত তারা দ্রুত বিচারের আওতায় আসুক।
এদিকে সংবাদ পেয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজিগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দেবনাথ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)'র ওসি এনামুল হক চৌধুরী, হাজিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একজন নারী ও পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমাদের সাথে পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে। আমরা ক্রাইম সিন থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করেছি। এই ঘটনার পিছনের কারণ হিসেবে কিছু তথ্য পেয়েছি। তথ্য যাচাই বাচাই সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য এখন থেকেই জেলা পুলিশ কাজ করছে।