সাভারের আশুলিয়ায় অন্যের দোকান নিজের দাবি করে ভাড়া দিয়ে অগ্রীম টাকা গ্রহণ করে প্রতারণার অভিযোগে কামাল চৌধুরী (৫৫) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী ভুক্তভোগী মো. রাজিব হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে আশুলিয়ার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সেনওয়ালিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-৪।
গ্রেপ্তার কামাল চৌধুরী আশুলিয়ার সেনওয়ালিয়া এলাকার গফুর চৌধুরীর ছেলে। তিনি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার বিশমাইল বাসস্ট্যান্ডের ৪৫নং দোকানটি কামাল চৌধুরী নিজের দাবি করে জামানত হিসেবে অগ্রীম ১ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। পরের দিন বাদীকে দোকানের চুক্তিপত্র করে দেওয়ার কথা থাকলেও দোকান বুঝিয়ে না দিয়ে সেই দোকান আরেকজনের কাছে ভাড়া দেন।
পরে ভুক্তভোগী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন উক্ত দোকানের মালিক অন্য একজন। তার নিকট থেকে বিবাদী ভাড়া নিয়ে দোকান পরিচালনা করতেন। এঘটনা জানার পর প্রতারণামূলক ভাবে গৃহিত অগ্রিম জামানতের ১ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে বিবাদী টাকা না দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী রাজিব হোসেন বলেন, কামাল চৌধুরী আমার সাথে প্রতারণা করে দোকান ভাড়ার কথা বলে অগ্রিম বাবদ ১ লক্ষ টাকা নিয়ে সেই টাকা ফেরত দিচ্ছেনা। উল্টো আমাকে মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করে। কামাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে সেনওয়ালিয়া এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে চাঁদা দাবিসহ বিভিন্ন মানুষকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, কামাল চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি দোকান ভাড়া দেয়ার কথা বলে ১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি র্যাব-৪ এর নজরে আসলে অনুসন্ধান শুরু হয়। পরে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে আশুলিয়ার সেনওয়ালিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে। পরে প্রতারণার মামলায় তাকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কামাল চৌধুরীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।