চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গুপ্টি ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া গ্রামের কলেজ ছাত্র রাশেদুল ইসলামের সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের অবহেলায় মৃত্যুবরণ করেছেন বলে দাবী করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ ও এলাকাবাসীর ব্যানারে উপজেলার ফকির বাজার হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের দুই পাশে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধন কমসূচিতে এলাকার বিভিন্ন বয়সী ৫শতাধিক লোক অংশগ্রহন করেন।
আহত অবস্থায় রাশেদুল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের অবেহলায় ৪-৫ ঘন্টা পড়ে থাকা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা অথবা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে না পাঠানো অমানবিক দাবী করে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মহিউদ্দিন মাহমুদ, গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ নেতা আরেফিন শুভ, ছাত্রলীগ নেতা বাহাউদ্দিন আরমান, নিহত রাশেদুলের পিতা খোরশেদ আলম, ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারিছ আহমেদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল-আমিন, প্রভাত সামাজিক সংগঠনের পক্ষে এমরান প্রমূখ।
বক্তারা সড়ক দুর্ঘটনায় ও সরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তাদের অবহেলার শিকার রাশেদ আলমের নির্মম মৃত্যুর প্রতিবাদ জানান এবং সড়কে রক্তপাত ও প্রাণহানি বন্ধ করে জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
এর আগে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচোঁ বাজার ও সেন্দ্রা গ্যাস পাম্প সংলগ্ন এলাকায় রামগঞ্জগামী একটি অটোরিকশা ও হাজীগঞ্জগামী একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় রাশেদুল গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ঘন্টা পর মৃত্যু হয়।
হাজীগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নাম গোলাম মাওলা নঈম বলেন, চিকিৎসকের অবেহলা বিয়ষটি ঠিক নয়। ওইদিন দুর্ঘটনায় আহত ৪জন রোগী আসে। সকলকেই চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনজনের পরিবারের সদস্য এসে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। রাশেদুল ইসলামের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তারপরেও চিকিৎসকরা সাধ্যমত চিকিৎসা দিয়েছে। আমি দুইদিন পর তার পরিচয় জানতে পেরেছি। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে ভাল হত। তার মৃত্যুতে আমিও দুঃখ প্রকাশ করছি।