কক্সবাজারে জলদস্যু সর্দার মঞ্জুসহ গ্রেফতার ৭
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
কক্সবাজারের নাজিরারটেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জলদস্যু সর্দার মঞ্জুসহ সাতজন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে অধিনায়ক লে.কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন।
অধিনায়ক লে.কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন জানান, র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী প্রেক্ষিতে খবর পায় কক্সবাজার পৌরসভার নাজিরারটেক মোস্তাকপাড়া চরের মধ্যে জলদস্যুদের একটি দল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ সমবেত হয়ে সমুদ্রে ডাকাতি সংঘটনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উক্ত গোয়েন্দা তথ্যের প্রেক্ষিতে ১০সেপ্টেম্বর রাত ২টা ১০মিনিটের সময় র্যাব-১৫ কক্সবাজারের একটি দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় জলদস্যু দলটি র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টাকালে জলদস্যু সর্দার মঞ্জু সহ ৭ জনকে র্যাব গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় জলদস্যুদের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় তৈরী ৩টি বন্দুক, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ৩ রাউন্ড এ্যামুনিশন, ২টি কিরিচ, ২টি সুইচ গিয়ার চাকু, ২টি টর্চ লাইট এবং ৭টি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- জলদস্যু সর্দার মোঃ মঞ্জুর আলম মঞ্জু (৩৮)। সে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়ার মৃত বাহাদুর মিয়ার পুত্র। অপর গ্রেফতার জলদস্যু কুতুবদিয়ার আলীআকবর ডেইলের মৃত সামছুল আলমের পুত্র মকছুদ আলম (৩২), পেকুয়ার মগনামার মৃত সৈয়দুল করিমের পুত্র মোঃ তোফায়েল (২১), চকরিয়ার বরইতলীর বদিউল আলমের পুত্র মোঃ দিদার (৩০), কক্সবাজার পৌরসভার উত্তর কুতুবদিয়া পাড়ার ইয়ার মোহাম্মদের পুত্র মোহাম্মদ রাশেদ (২৭), চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীর ছনুয়ার আবু তাহেরের পুত্র মোঃ বাহার উদ্দিন বাহার প্রকাশ মাহবুব (৩২) ও হাটহাজারীর উত্তর মাদরাসা এলাকার মৃত মো: ইছহাকের পুত্র ইকবাল হোসেন (৩৫)।
লে.কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন জানান, জেলে সম্প্রদায়ের অসংখ্য লোক বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কিন্তু জলদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠার ফলে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের জন্য রীতিমত আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিনিয়তই জলদস্যুরা জেলেদের মারধর করে জাল, মাছ ও নগদ অর্থ ইত্যাদি লুটপাট করে নিয়ে যায়। সেই সাথে জলদস্যুরা অনেক জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ও ক্ষেত্রবিশেষ জেলেদের খুন পর্যন্ত করে থাকে। এ অবস্থায় জলদস্যু চক্রকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে মাঠে নামে র্যাব। একই সাথে বৃদ্ধি করা হয় র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী ও তৎপরতা।