বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বরেছেন, হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। হলুদ সাংবাদিকতা দেশের জন্য ক্ষতিকর। সঠিক তথ্য তুলে ধরে মানুষের কল্যাণে বস্তনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাংবাদিকসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সাইবার নিরাপত্তা বিধান নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। সাংবাদিকবান্ধব সরকারের পক্ষে সাংবাদিকদের জন্য ভালো কিছুই করবে এমনটা আশা করা যায়।
গতকাল সোমবার পাবনা সার্কেট হাউজ মিলনায়তনে ‘হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম আরও বলেন, অনেক সাংবাদিকদের আজ বেতন দেয়া হয় না। তারা মাঠ পর্যায়ে সম্মান পাচ্ছেন না। এজন্য গণমাধ্যমের মালিকের এগিয়ে আসতে হবে। ওয়েজ বোর্ড মালিক পক্ষরা মানতে চান না। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেও মামলা দিয়ে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করে রেখেছেন। একজন সাংবাদিক ২২ ঘন্টা কাজ করবে আর মালিকেরা বেতন দিবে না এটা হতে পারে না। এজন্য সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিকতা নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। তাতে সাংবাদিকদের নূন্যতম যোগ্যতা হবে স্নাতক। তবে অভিজ্ঞতার আলোকে শর্ত শিথিল করা হবে।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শোয়েব আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ও জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সামিউল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান স্বপন, সাধারন সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, পাবনা টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রাজিউর রহমান রুমি, সাধারন সম্পাদক আখিনুর ইসলাম রেমনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৫০জন সংবাদকর্মী অংশ গ্রহণ করেন।