নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, ‘সকালে ঠিকমত জোরে কাশি দিলে নারায়ণগঞ্জ শহর ফাঁকা হয়ে যাবে অর্ধেক। অথচ তারাই এখন কাঁচের ঘরে থেকে আমাদের নিয়ে নানা ধরনের কথা বলেন। আমাদের গালি দেক কোন সমস্যা নাই কিন্তু নারায়ণগঞ্জের রাজপথে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করবে এগুলো সহ্য করবো না। এগুলো মেনে নেওয়ার মত না। অন্তত আমরা মেনে নিতে পারবো না। আমরা যারা ৭৫ এর পরে রাজনীতিতে এসেছি তারা শেখ হাসিনাকে মায়ের দৃষ্টিতে দেখি। ওরা আমাদের মাকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করবে, এটাতো আমরা মেনে নিব না। এমন কর্মকা- আমরা মেনে নিতে পারি না। তাই মনে হয়েছে এবার ঘণ্টা বাজানোর সময় এসেছে। কারণ দেশের সবগুলো আন্দোলন শুরু হয়েছে এ নারায়ণগঞ্জ থেকে। তাই নারায়ণগঞ্জেই আমাদের ঘণ্টা বাজাতে হবে।
১১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুল ইসলাম ভূইয়া। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সহ সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুমসহ চেয়ারম্যানেরা প্রমুখ।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে একজন আছে পলিটিক্যাল প্রস্টিটিউট। তিনি বলেছেন পুলিশ ছাড়া নামতে। আমি পুলিশের কাছে অনুরোধ করছি আপনাদের যত পুলিশ আছে, সব তাদের পক্ষে যান। সব নিয়ে ঘোষণা করেন পুলিশ আমাদের পক্ষে আছে, তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করে দিব।
শামীম ওসমান বলেন, রাজনীতিতে কিছু হিসাব নিকাশের বিষয় আছে। আমি যে সব জানি তা না। তবে খোঁজ খবর রাখি। ওরা ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে। ওরা তারাই যারা স্বাধীনতার সময় ত্রিশ লাখ মানুষের জীবন নিয়েছিল। দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম নিয়েছিল। ওরা ইসলামের কথা বলে মানুষ জবাই করেছিল। আমরা কি এই জন্য মাঠে নামবো, না এই জন্য মাঠে নামবো না। নামবো স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির জানান দিতে। কী লজ্জা আমাদের? এই শহীদদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ রক্ষা করতে আমাদের এক হতে হয়। এই বয়সে মুক্তিযোদ্ধাদের রাস্তায় নেমে স্লোগান দিতে হয়। সেই সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘বীর বাঙালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’ আর আজকে আমাদের স্লোগান ধরতে হয়, ‘বীর বাঙালী ঐক্য গড়ো, বাংলাদেশ রক্ষা কর।’
তিনি বলেন, আমি বলি আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাই হবেন সরকার প্রধান।
সমাবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, সেদিন নারায়ণগঞ্জের মানুষ দেখিয়ে দেবো নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি ছিল আছে এবং থাকবে। আপনারা ১৬ তারিখ দেখিয়ে দেবেন, আমরা এমন আওয়াজ তুলব, যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।