শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পড়ে রয়েছে মূল্যবান মেশিন

জনবল সংকটে মেশিন চালু করা যাচ্ছে না চিকিৎসা সেবা ব্যাহত 

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:০৫ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আধুনিক মেশিন স্থাপন করা হলেও অনেক মেশিন এখনো চালু করা হয়নি। এতে চিকিৎসাসেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে এবং মূল্যবান মেশিন ব্যবহার না করায় নষ্ট হওয়ার পথে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ মাস আগে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট ওই হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। রক্তে কোনো ধরণের জীবাণু শনাক্ত এবং তার ওষুধ নির্দেশের যন্ত্রটি প্যাথলজিতে পড়ে আছে। একইভাবে পড়ে আছে ক্ষমা রোগের ধরণ নির্ণয়ে এবং তার চিকিৎসায় কি ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। তার নির্দেশনা প্রদানের জন্য যক্ষ্মা কালচার মেশিন, এনজিওগ্রাম (কফ ল্যাব) ও বায়োপসি করার মেশিন ও বøাড কালচার মেশিন।

এ মেশিনগুলো চালনার জন্য নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান। এ হাসপাতালে আধুনিক মানের উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সব ধরণের এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, ইউএসজি, ইসিজি, ইকো, ইটিটি, চোখের ল্যাসিক সংযোজন সুবিধাসহ ডেন্টাল ইউনিট চালু করা হয়েছে। ল্যাপারোস্কপি অপারেশনের সুবিধাসহ রয়েছে সব ধরণের অপারেশনের ব্যবস্থা।

শিশু, গাইনি, অর্থোপেডিক, ইএনটি মেডিসিন বিভাগ চালু করা হয়েছে। রয়েছে সিসিইউ সুবিধা। কিন্তু বøাড কালচার মেশিন, যক্ষ্মা কালচার মেশিন, এনজিও গ্রাম (কফ ল্যাব) ও বায়োপসি পরীক্ষা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ মেশিন প্রস্তুত থাকলেও জনবলের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ডা. কৃষ্ণ কুমার পাল সাংবাদিকদের বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ওই মেশিন প্রায় ৮মাস আগে হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না। হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস মুহা. খায়রুল আতাতুর্ক বলেন, এসব মেশিন স্থাপন করা হলেও বিশেষজ্ঞ না থাকায় হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রোগের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।

তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এ বিষয়ে ওই হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় এমপি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, সরকার চিকিৎসা খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় মূল্যবান যন্ত্রপাতি জনবলের অভাবে পড়ে রয়েছে এবং আমাকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়নি। তবে শিঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।