ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাঁদপুর-ঢাকা নৌ-পথে এম.ভি.ময়ূর-১০,

চলন্ত লঞ্চে গৃহিনী দিলো শিশুর জন্ম,পরিবার পেল আজীবন যাতায়াতসহ সব ফ্রি

চলন্ত লঞ্চে গৃহিনী দিলো শিশুর জন্ম,পরিবার পেল আজীবন যাতায়াতসহ সব ফ্রি

চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বিলাস বহুল লঞ্চ এম.ভি.ময়ূর-১০ নামের লঞ্চে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন এক গৃহিনী।

এ ঘটনাটি ঘটে,বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ২ টায় দিকে লঞ্চ এম.ভি.ময়ূর-১০ লঞ্চে চলন্ত অবস্থায়। ঐ সময় খবরটি লঞ্চে ছড়িয়ে পরলে পুরো লঞ্চে একটি আনন্দঘন মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সকল যাত্রীরা খুশিতে আনন্দিত হয়ে পড়েন।

এ খবরে লঞ্চ মালিক ও কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হয়ে ওই শিশুর পরিবারের জন্য আজীবন লঞ্চে যাতায়াত ভাড়া ফ্রিসহ সকল প্রকার আপ্যায়ন ফ্রি করার ঘোষণা দেন ।

ময়ূর লঞ্চের সুপারভাইজার আবু সাঈদ জানান, বুধবার রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চটি ছেড়ে যায়। লঞ্চের ২০৮ নম্বর কেবিনটি ভাড়া নেন ওই দম্পতি। লঞ্চটি কিছুদূর যেতেই রাত পৌনে ২টার সময় ওই কেবিন থেকে চিৎকারের আওয়াজ ভেসে আসে। কেবিন বয় কেবিনে গিয়ে দেখেন এক নারী প্রসব ব্যথায় চিৎকার করছেন। পাশে রয়েছেন তার স্বামী।

পরে এক ধাত্রী এগিয়ে এলে রাত পৌনে ২টার সময় একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান ওই নারী জন্ম দেন। এই খবর লঞ্চে ছড়িয়ে পরলে পুরো লঞ্চের যাত্রীদের মধ্যে আনন্দঘন উৎসাহের সৃষ্টি হয়ে সকলে শিশুর জন্য দোয়া চান মহান আল্লাহপাকের কাছে ।

তিনি আরো বলেন, খুশিতে ওই শিশুর পরিবারের জন্য আজীবন লঞ্চে যাতায়াত ফ্রিসহ সকল বিষয় ফ্রি করার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে খুশিতে তাদের নাম ঠিকানা রাখা হয়নি। তাদের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এতটুকুই জানা গেছে। পরে ঢাকা সদর ঘাটে তাদেরকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওই নবজাতকের বাবা জানান, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে ঢাকার একটি বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ময়ূর-১০ লঞ্চে উঠেন তারা। লঞ্চেই আল্লাহর রহমতে ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে। পরে সবাইকে মিষ্টি খাওয়ানো হয় লঞ্চের পক্ষ থেকে । এ ঘটনাটি পুরো শহরে টক অবদা টাউনে পরিনত হয়েছে।

ফ্রি,যাতায়াত,লঞ্চ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত