লাকসাম-মনোহরগঞ্জ কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকা আসনে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত সহকারী আব্দুল মান্নানের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে ব্যাপক শোডাউন ও গণসংযোগ করেছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় গাড়ী বহর নিয়ে ঢাকা থেকে লালমাই পৌঁছলে লাকসাম-মনোরগঞ্জ উপজেলার আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে বরণ করে।
হোন্ডা ও গাড়ী বহর নিয়ে মুদাফরগঞ্জ মাওলানা সাহেব বাজার, চিতোষী-বিজরা হয়ে শ্রীয়াং যায়। পথে পথে গাড়ী থেকে নেমে বিভিন্ন দোকান ও বাজারে মানুষের সাথে কৌশল বিনিময় করে এবং নিজকে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে দোয়া চায়। গত কয়েক দিন পূর্বে শ্রীয়াং এলাকা আওয়ামীলীগের দলীয় মেম্বার আবুল কাশেম প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হয়।
দলীয় নেতকার্মীদেরকে নিয়ে আবুল কাশেমের কবর জিয়ারত করেন। শোকাহত পরিবারকে শান্তনা দেন।
প্রয়াত কাশেমের মৃত্যুর পিছনে যারা জড়িত তাদের বিচারের আশ্বাস পরিবারকে আর্থিক অনুদান সাহায্য করে।
এরপর অসুস্থ্য সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের লাকসাম পশ্চিমগাঁও এর বাড়িতে খোঁজ খবর নেয়।
দুপুরে গাজী সাহেব মাজার জিয়ারত করেন এবং জুম্মার নামাজ আদায় করেন।
এরপর লাকসাম পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে শোডাউন করে। দুপুরের পর দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ চাঁনপুর, হাসিরপাড় ও মনোহরগঞ্জ বাজার, দিশাবন্দ হয়ে তাহেরপুর, খিলা হয়ে আবারও লাকসামের বিভিন্নস্থানে গণসংযোগ অব্যাহত রাখে।
গত ২৭ বছর যাবত থেকে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আসন থেকে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী হিসাবে তাজুল ইসলাম পর পর চারবার এমপি নির্বাচিত হয়ে আসছে।
২০০৯ সালে তাজুল ইসলাম নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পান। হঠাৎ করে সম্প্রতি অনীক হত্যায় জানাযায় অংশ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত সহকারী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান।
গত ১৫ আগষ্ট দলীয় নেতকার্মীদেরকে নিয়ে আব্দুল মান্নান আলাদা ভাবে দৌলতগঞ্জ বাজারে শোক সভা পালন করে।