নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:১২ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কক্সবাজার- ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। এসময় নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ব্যারিস্টার মিজান।

ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ আশা প্রকাশ করেন,  তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিচার বিভাগে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে এবং বিচার প্রার্থী জনসাধারণের দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে  

উল্লেখ্য, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানাধীন ছয়াশী (হাটনাইয়া) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস (অনার্স), এমএসএস (অর্থনীতি) ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদ পেয়ে জেলা বারে যোগদান করেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন। 

তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর একজন সদস্য হিসেবে তিনি ২০১২ সালের ২৫ মার্চ যোগদান করেন। ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর এ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ কর্মরত থাকাকালীন ১১টি মামলার রায় প্রদান করা হয়। ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে তিনি নিয়োগ লাভ করেন।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দুর্নীতি একটি ক্যানসারের মতো কাজ করছে সর্বত্র। এটি এমন নয় যে শুধু বিচার বিভাগেই আছে, এমন নয় যে এটি শুধু অন্য কোনো বিভাগে আছে—এটি সব জায়গাতেই কিছু না কিছু আছে। দুর্নীতি কমানোর ইচ্ছা থাকলে এটি কিছু না কিছু কমানো যাবেই।

গত বুধবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এসব কথা বলেন। সামাজিক পরিবর্তন না আনলে শুধু বিচার করে, শুধু আইন-আদালত করে এই সমাজকে সঠিক পথে আনতে পারবেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি।