নারায়ণগঞ্জে যুবককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার মধ্য নরসিংপুর এলাকা থেকে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নূর ইসলাম নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।

নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ও গভীর ক্ষত রয়েছে। নিহত যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা শেষে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে লাশ বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলানো হয়েছে বলে ধারনা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আসমা এবং দুই শ্যালক শাহজালাল ও মোজাফফরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ধারালো দা ও দড়ি জব্দ করেছে পুলিশ।

নিহত নূর ইসলাম শরিয়তপুর ডামুইডা এলাকার আব্দুল জলিল বেপারীর পুত্র। সে পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিল। সে মধ্য নরসিংপুর এলাকায় শ^শুরবাড়িতে একটি জমিতে ঘর তুলে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে থাকতো।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৮ বছর আগে মধ্য নরসিংপুর এলাকার প্রয়াত গনি মিয়ার মেয়ে আসমাকে বিয়ে করেন শরিয়তপুরের ডামুইডা এলাকার আব্দুল জলিল বেপারীর পুত্র নূর ইসলাম। বিয়ের পরে শ^শুর গনি মিয়া তাদেরকে থাকার জন্য একটি ৪ শতাংশের জমি দেন। সেই জমিতে নিজ খরচে বাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তাদের সংসারে আশরাফুল ইসলাম ও আরশাদুল ইসলাম নামে দুই ছেলে এবং মানসুরা নামে এক মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে আশরাফুল মাদরাসায় এবং অপর ছেলে ও মেয়ে স্কুলে লেখাপড়া করে।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক জানান, ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে ধারালো অস্ত্র (দা) দিয়ে নূর ইসলামের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। পরে সেটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য লাশটি বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ঘটনার সময়ে নিহতের সন্তানরা মাদরাসায় ও স্কুলে ছিল। খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন এবং সেখানে গভীর ক্ষত রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রী ও দুই শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।