হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:২১ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় দুইজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। একই মামলায় আরও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরার আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ফতুল্লার দক্ষিণ শিয়াচর এলাকার ইদ্রিস চৌকিদারের স্ত্রী সালেহা বেগম ও কোতয়ালের বাগ এলাকার বিল্লাল মুন্সীর ছেলে মনির হোসেন। তাদের মধ্যে সালেহা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং মনির হোসেন পলাতক ছিলেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ফতুল্লার কোতয়ালের বাগ এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ কাজল মিয়া, লাল খা এলাকার মৃত আবেদ আলীর ছেলে মোঃ জুয়েল, কোতয়ালের বাগ এলাকার মোঃ আব্দুল ছালামের ছেলে নুরুল ইসলাম, বরগুনা জেলার আব্দুল ছালামের মাজেদুল ইসলাম মঞ্জু ও যশোর জেলার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে লিটন।
আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত মনির হোসেন সহ এদের সকলকে একই মামলার অন্য ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১১ সালের ২২ এপ্রিল ফতুল্লা থানার দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় দুইজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময়ে একজন আসামী ছাড়া সকলেই অনুপস্থিত ছিলেন।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শিপ্রা মোদক বিষয়টি বলেন, ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল রাতে ফতুল্লার শিয়াচর এলাকার আনিছ মিয়ার ভাড়াটিয়া কবির হোসেন (৩৫) বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন সকালে বাসার পাশে একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, আদালত সেই মামলার দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম শেষে তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ও ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করেছেন।