সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু এমপি বলেছেন, ভালভাবে সম্মানের সাথে বেঁচে থাকতে হলে পড়া-লেখা জানা দরকার। পড়া-লেখা না জানলে হালচাষও করা যাবে না। বর্তমানের কৃষি প্রযুক্তি নির্ভর। কোন্ সময় কোন্ শস্য আবাদ করলে ফলন বেশী হয়, কখন কী পরিমাণ সার-কীটনাশক প্রযোগ করলে উপকার বেশী পাওয়া যায় এসবের জন্য পড়া-লেখা জানা দরকার।
তিনি বলেন, এখন প্রাইমারী স্কুলে পড়া-লেখা করতে টাকা লাগে না। হাইস্কুলে পড়া-লেখা করতে টাকা লাগে না। উপরন্তু স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা টাকা পায়। বিনামূল্যে বই দেওয়া হয়। দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উপ-বৃত্তির টাকা দেওয়া হয়। একইভাবে কৃষি প্রযুক্তিকেও সহজলভ্য করেছে সরকার। সার-কীটনাশক ও ডিজেলে ভর্তুকি দেওয়া হয়। কৃষি মেশিনারিজ কিনতে মোট মূল্যের ৭০ শতাংশ দেয় সরকার। এ ছাড়াও সরকার সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কাছে ভাতার টাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। সারাদেশের ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসমিয়া আত্রান্ত রোগীদের চিকৎসারর জন্য কোটি কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করছে। এভাবে দেশের ধনী-গরিব সকল মানুষ কোন-না কোনভাবে সরকারের টাকা পায়। ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। আগে সহজে পায়ে হেঁটেও এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাওয়া যেত না। বর্তমানে সারাদেশে যে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট দেখা যায় এসব কে করেছেন ? শেখ হাসিনা। উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনা। দেশের সকলের উন্নয়নের জন্য আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিতে হবে। কারন, উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনাকেই বারবার দরকার।
প্রতিমন্ত্রী নেত্রকোণার বারহাট্টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার ও উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে গত রোববার থেকে তিনদিনব্যাপি এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশবিরোধী পরাজিত শক্তি আবার জেগে ওঠার চেষ্ঠা করছে। ওরা জেগে উঠলে দেশের উন্নয়নের রথ থেমে যাবে। ওদের কিছুতেই এগুতে দেওয়া যাবে না। তাই আগামী নির্বাচনে সকলে মিলে ভোট দিয়ে নৌকাতে জিতিয়ে আনতে হবে।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি সভাপতিত্ব করেন। উপজেলা কুষি অফিসার কৃষিবিদ রাকিবুল হাসানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট অসিত কুমার সরকার সজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাজী সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আজাদ ও শাহিনুর আক্তার শায়লা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা প্রকোৗশলী অমিত চন্দ্র দে, মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ, থানার অফিসার ইনচার্জ খোকন কুমার সাহা, প্রকল্প বাস্তাায়ন কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমান, সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা শাহ মুহাম্মদ আব্দুল কাদের প্রমুখ।