আলুর সিন্ডিকেট ভাঙতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে: ডিজি সফিকুজ্জামান

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, আমরা কোল্ডস্টোরেজে আলুর দর ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি। এরপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ডস্টোরেজ কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করে তুলেছেন। আমরা আলুর সিন্ডিকেট ভাঙতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানির সুপারিশ করা হবে।
আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর)রংপুর নগরীর উত্তম হাজীরহাট এলাকায় আরমান কোল্ডস্টোরেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ভোক্তার ডিজি বলেন, এখানে রাসেল নামে এক ব্যক্তি নিজের উৎপাদিত আড়াই হাজার বস্তা আলু ও স্থানীয় কৃষকদের সাড়ে বারো হাজার বস্তাসহ মোট ১৫ হাজার বস্তা আলু নিজের নামে রেখেছেন। এভাবে অন্যের আলু নিজের নামে রেখে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন রাসেল।
তিনি বলেন, এছাড়া আরমান কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে চার কোটির বেশি টাকা লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন। কী উদ্দেশে লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে এবং রাসেল ও কোল্ডস্টোরেজের জিএম রেজাউল করিম লেবুর সিন্ডিকেট বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য তাদেরকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পরে রংপুরে আলুর দাম নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে আলু ব্যবসায়ীগন,হিমাগার মালিক সমিতি ও অংশীজনের সাথে মতবিনিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রংপুর ভোক্তা অধিকার রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসন সন্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএসএম সফিকুজ্জামান। সভায় জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসানের সভাপতিত্বে এতে জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তরিকুল ইসলাম,  ভোক্তা ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, আলুর সিন্ডিকেট ভাঙতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, তারপরও আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানির সুপারিশ করা হবে।

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ডস্টোরেজের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করে তুলেছেন। আমরা এসব সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আরও ৩/৪ দিন দেখব। এরমধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে।