সহসাই কক্সবাজারে অবতরণ করবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট

আরও ৩ হাজার জলবায়ূ উদ্বাস্তু পরিবার পাচ্ছে আশ্রয় : মুখ্য সচিব

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মূখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

তিনি বলেছেন, আগামি নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে কক্সবাজারের রানওয়েতে দেশী-আন্তর্জাতিক সকল বিমান অবতরণ করবে। ৯ হাজার ফুট রানওয়ের সাথে সমুদ্র বক্ষে ১৭০০ ফুট রানওয়ে বাড়িয়ে ১০ হাজার ৭০০ ফুটের রানওয়ে হচ্ছে কক্সবাজারে। যা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছে এমন গর্বের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে উল্লেখ করে মূখ্য সচিব বলেছেন, রানওয়েতে বিমান অতরণের সময় যাত্রী অনুভব করবেন সমুদ্র নামছেন। যা পর্যটনকে পরিবর্তন ঘটাবে বলে মনে করেন তিনি।

শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার বিমান বন্দরের আন্তর্জাতিক মানের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মূখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজারের খুরুশকুলের সর্ববৃহৎ জলবায়ূ উদ্বাস্তুদের জন্য হওয়া আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। যেখানে নিমার্ণাধিন ভবন পরিদর্শন, বাস্তবায়নকারি সেনা কর্মকর্তা সহ বসবাসরত উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করেন।

এসময় তিনি গণমাধ্যমে বলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবায়ূ উদ্বাস্তুদের আশ্রয় কেন্দ্র এটি। যেখানে ১৯ টি ভবনে ইতিমধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন ৪ হাজার পরিবার। এখন আরও ৬০ টি ভবন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। আগামি ২ মাসের মধ্যে এখানে আরও আড়াই থেকে ৩ হাজার পরিবার আশ্রয় পাবেন।
১৯৯১ সালের প্রলয়ংনকারি ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়হীন মানুষকে এক স্থানে নিয়ে এসে আশ্রয় দেয়ার একটি ইতিহাস প্রধানমন্ত্রী সৃষ্টি করেছেন মন্তব্য করে মূখ্য সচিব বলেন, এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। বিদ্যালয়ের জন্য জায়গা রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে স্কুল ও কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হবে। পরিবেশ বান্ধব এই আশ্রয় কেন্দ্রে খেলার মাঠ, মসজিদ, মন্দির সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও হবে।
খুরুশকুল আশ্রয় কেন্দ্রের পশ্চিমে নদীর কিনারে ২ টি আধুনিক জেটিও হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, এখানের মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য গ্রীন হাউজ প্রক্রিয়া আধুনিক শুটকি পল্লী, জেলেদের জন্য ব্যবস্থা একই সঙ্গে পর্যটন বিকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া মুখ্য সচিব খুরুশকুলের বায়ূ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিমান বন্দরের পশ্চিমে সমিতি পাড়া পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।