ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টেকনাফে ডিএনসির অভিযান, হিরোইন-ইয়াবা ও বিদেশী অস্ত্র উদ্ধার

টেকনাফে ডিএনসির অভিযান, হিরোইন-ইয়াবা ও বিদেশী অস্ত্র উদ্ধার

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে একটি বসতঘর থেকে হিরোইন (সম্ভাব্য হিরোইন), ইয়াবা, অস্ত্র, তাজা কার্তুজ ও ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় মাদক কারবারে জড়িত ৭জনকে পলাতক আসামি করা হয়েছে।

রোববার রাত ১০টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তের কক্সবাজারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোন খবর পান ইয়াবা, অস্ত্র ও তাজা কার্তুজ মজুদ রাখা হয়েছে একটি বসতঘরে। তারই সূত্র ধরে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফের পরিদর্শক বিদ্যুৎ বিহারি নাথের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোদারবিল গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ সাজেদের ভাড়া করা বসতঘরে অভিযান গেলে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে ওই ঘরে তল্লাশি চালিয়ে নতুন ফরমেটে ৭০০গ্ৰাম হিরোইন, ৫৩হাজার পিস ইয়াবা, তিনটি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল, একটি বিদেশী পিস্তল,১৪১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, তিনটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় ৭জনকে পলাতক আসামী করা হয়েছে।

পলাতক আসামি হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মধ্যম গোদার বিলের আবু সৈয়দের ছেলে আবদুল্লাহ (২৮),একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড উত্তর লম্বরীর হোছন আহম্মদের ছেলে কাদের (৩৫), একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম গোদার বিলের ইমাম হোসেনের ছেলে সাহেদ প্রকাশ সাজেদ (২৪),একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম গোদার বিলের ইমাম হোসেনের ছেলে শাহ আলম (২০), একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড দক্ষিণ লেঙ্গুর বিলের হোছন আহম্মদ সাদ্দাম (২৮), দক্ষিন লেঙ্গুর বিলের বশির আহম্মদের ছেলে আনোয়ার (৩৫) ও গোদার বিলের কালা মিয়ার ছেলে মো. কাসিম(৩২)।

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্ত চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম মেট্রো (উত্তর)সহকারী পরিচালক রামেশ্বর দাস, টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল মোস্তফা।

টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক জনাব মো. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, আসামীরা মূলত মাদক ব্যবসায়ী। টেকনাফে মাদক মজুদ ও সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিন্ডিকেট ভিত্তিক আধিপত্য বিস্তারের কৌশল হিসেবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ করছে। এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল বলেন, এ ঘটনায় সাতজনকে পলাতক আসামি করে টেকনাফ থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরো বলেন,পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এর সংশ্লিষ্ট ধারায় এবং আগ্নেয়াস্ত্র আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক ২টি নিয়মিত মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,মাদক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত