নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় লিটন মিয়া (২৬) এক যুবককে গ্রেফাতর করেছে র্যাব-১১। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ফতুল্লা থানাধীন পাগলা বৈরাগী বাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফাতরকৃত আসামী লিটন মিয়া ফতুল্লার পাগলা বৈরাগী বাড়ি পূর্বপাড়া এলাকার কসাইয়ের ছেলে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, ২০২২ সালের ১৪ জুলাই ভিকটিম (১৮) নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন নয়ামাটি বৈরাগী বাড়ি তার বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। একই দিন রাত অনুমান পৌনে ১০টায় ভিকটিম তার বান্ধবীর বাসা হতে বের হয়ে দোকান থেকে খাবার কিনে পুনরায় বান্ধবীর বাসায় ফেরার পথে গ্রেফতারকৃত আসামী লিটন মিয়াসহ অনান্য আসামীরা ভিকটিমকে ধারালো চাকুর মুখে জিম্মি করে পাগলা বৈরাগী বাড়ি এলাকার শাওন’র এক তলা বিশিষ্ট বিন্ডিংয়ের ভিতর নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামী লিটন মিয়াসহ অনান্য আসামীরা ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এই পাশবিক ধর্ষণের ফলে ভিকটিম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে ভিকটিমের জ্ঞান ফিরে আসলে গ্রেফতারকৃত আসামী লিটন মিয়া ও সঙ্গীয় আসামীরা ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে উক্ত বাড়ি হতে বের করে দেয়।উক্ত ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
র্যাব আরও জানান, উক্ত ধর্ষণের পর হতে আসামী লিটন মিয়া কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল ধর্ষণ মামলার আসামী লিটন মিয়াকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে ফতুল্লা মডেল থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব।
