কক্সবাজারের রামুতে বনবিভাগের জায়গা দখল করে এনজিওর টাকায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণাধীন এসব ঘর উচ্ছেদ করতে গিয়ে দখলবাজদের হামলায় রাজারকুল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেনসহ ২৮ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রাজারকুল সদর বিট কর্মকর্তা জহিরুল আলমের অবস্থা আশংকাজনক। তিনি চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্র বলছে, তার মাথায় ১২ টি ও নাকে ৪ টি শেলাই দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকালে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রমতে, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের রাজারকুল রেঞ্জের দারিয়ারদীঘি বিটের কম্বনিয়া এলাকায় বনভূমি জবরদখল করে একটি গ্রুপ ২০ টির মতো পাকা ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে আসছিল। গত মঙ্গলবার খবর পেয়ে সহকারী বন সংরক্ষক ( এসিএফ) আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে বনকর্মীরা বাধা দেয়। এ সময় ৩/৪ শ জবরদখলকারী লাঠিয়াল বাহিনী বনকর্মীদের আক্রমণ করে। এতে ২৮জন বনকর্মী আহত হয়। তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রামু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এরমধ্যে অবস্থার অবনতি হলে রাজারকুল সদর বিট কর্মকর্তা জহিরুল আলম ও দারিয়ারদীঘি বিট কর্মকর্তা মো. আরজু মিয়াকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সহকারী বন সংরক্ষক ( এসিএফ) আনিসুর রহমান বলেন, আহত ২৮ জনের মধ্যে বিট কর্মকর্তা আরজু মিয়া কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এবং রাজারকুল বিট কর্মকর্তা জহিরুল আলম চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। তবে এখনো পর্যন্ত কোন এনজিও ঘর করার জন্য অর্থ দিয়েছে তা শনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে বুধবার সকালে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত রাজারকুল বিট কর্মকর্তা মো. জহিরুল আলমকে দেখতে যান চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম, কক্সবাজার ও টেকনাফের দায়িত্বরত সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) জিএম মো. মনিরুল ইসলাম।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। সরকারি জায়গাতে ঘর করতেছে একটি অপরাধ। উল্টো বনকর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে আরেকটি অপরাধ করেছে দখলবাজচক্র। কোন এনজিও তাদের অর্থায়ন করেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু তাহের দেওয়ান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। বনবিভাগের লোকজনের সাথে কথা হয়েছে। এজাহার দিলে মামলা রেকর্ড করা হবে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, বনবিভাগের লোকজন তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছে।