টেকনাফে ধান খেত থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৪০ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ধান খেত থেকে এক স্কুল শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম মো. ওমর সাদেক (৮)।সে টেকনাফ উপজেলা সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সব্বির আহমদের ছেলে।

শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ নাফনদীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বরফ কলের পার্শ্ববর্তী ধান খেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

 এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রেজাউল করিম রেজু। 

নিহত শিক্ষার্থী ওমর সাদেকের বড় খালাম্মা ছেনোয়ারা বেগমের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন,শুক্রবার দুপুরের দিকে প্রতিদিনের মতো ঘরে থাকা  চার-পাঁচটি ছাগল বেড়িবাঁধ এলাকায় চড়াতে নিয়ে যান ওমর সাদেক। বিকেলের দিকে ওমর সাদেকের বড় ভাই মো. ফারুক জালিয়াপাড়া যাওয়ার সময় ছাগলসহ সাদেককে বেড়িবাঁধ এলাকায় বসে থাকতে দেখেন। ফারুক জাল থেকে মাছ নিয়ে ঘরে ফেরার সময় বেড়িবাঁধের উপরে ছাগলগুলো দেখতে পেলে সেগুলো নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। তবে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও ওমর সাদেক বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজির করে কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাত সাড়ে আটটার দিকে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করা হয়।এরপর নিকট আত্মীয়-স্বজনরা মিলে ছাগল চরানো ওই এলাকায় খোঁজাখুঁজি করলে বরফ কলের পার্শ্ববর্তী ধান খেতে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়।পরে স্থানীয় লোকজন লাশটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।

নিহতের বড় ভাই মো. ফারুক বলেন, আমার ভাইয়ের গলায় একটি রশি পেচানো ছিল। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের পাশাপাশি মূখেও রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। কি কারনে আমার ছোট ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে এর কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।তবে খুনি যেই হোক না কেন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে অধিকতর তদন্তের করে খুনিকে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। 

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।