গনমাধ্যমে বক্তব্য দিতে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা

বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের নির্বাচনী এক্সপ্রেসে বক্তব্য দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব রেদওয়ান খান বোরহানসহ নেতা-কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় এ  সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

রেদওয়ান খান বোরহান তার বক্তব্যে  বলেন, বিচার আমার সৃষ্টি কর্তার কাছে। কি অন্যায় ছিল আমার। লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিবিসি নিউজের নির্বাচনী এক্সপ্রেস এ বক্তব্য রাখার সময় আমিসহ নেতা-কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। আমিতো সেখানে কোন অন্যায়ের জন্য যাইনি। আমি চাঁদপুর-৩ আসনের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে গিয়েছি। তাদের হামলায় আমার প্রায় ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। যে আমাদের উপর হামলা করতে তার নাম বলতে আমার লজ্জা লাগে। তারা কোথায় আওয়ামী লীগ করেছে। আজ তারা আওয়ামী লীগের নাম পরিচয় ব্যবহার করে নানা অপকর্ম ও মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। ওই উনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম খান স্ব-শরীরে নিজে থেকে লোকজন নিয়ে ১০টি গাড়ীর মধ্যে ৫টি গাড়ী ভাংচুর করেছে।

তিনি আরোও বলেন, আমি ঘটনার পরপর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে জানিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। তবে এখনও মামলা দায়ের হয়নি, প্রস্তুতি চলছে। আমি নির্বাচনের মাঠে আছি, থাকবো। আজকে  কোন দলীয় নেতা-কর্মীকে সাথে নিয়ে আমি আসিনি। নিজে একাই সংবাদ সম্মেলনে এসেছি।

এসময় বক্তব্য দেন-চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, শহীদ পাটওয়ারী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির, রিয়াদ ফেরদৌস, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাওন পাটওয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তালহা জোবায়ের।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ও স্থানীয় গনমাধ্যমে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসির ইলেকশন এক্সপ্রেস অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পরে সাংবাদিকসহ উপস্থিত সব লোকজন ছুটাছুটি করে আত্মরক্ষা করে।