কক্সবাজারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের বিরুদ্ধে হোটেলে ভাত খেয়ে ৩ লাখ টাকা বকেয়ার অভিযোগ তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় সংসদের সহ সভাপতি ও তদন্ত কমিটির ১ নম্বর সদস্য খাদিমুল বাশার জয়।
খাদিমুল বাশার জয় ছাড়াও তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কেন্দ্রিয় সংসদের সহ সভাপতি রবিউল হাসান রানা, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম শাকিল ও উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব সজীব।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড় এলাকা সংলগ্ন হোটেল ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্টের ভূ-গর্ভস্থ মেঝেতে শাহাব উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির ভাতঘরে নেতাকর্মিদের নিয়ে ৭ মাস ধরে ভাত খেয়ে বিল বকেয়া রাখার অভিযোগ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বকেয়া বিল দাবি করায় ভাতঘরটির মালিক শাহাব উদ্দিনসহ কর্মচারিদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর এ অভিযোগে ভূক্তভোগী ব্যক্তি শাহাব উদ্দিন বাদী হয়েজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৭ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ অভিযোগটি নথিভূক্ত করে তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে।
এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবরটি প্রচারিত হলে সর্বত্রই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। এরই প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় সংসদ ঘটনার তদন্তে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
খাদিমুল বাশার জয় বলেন, রোববার কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তে কেন্দ্রিয় সংসদ ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সোমবার কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলাপ করে মাঠ পর্যায়ে কখন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে নেওয়া হবে।
“ ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরের হার্ড ও সফট কপির পাশাপাশি অনলাইন ও অফলাইনে তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। কেন্দ্রিয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনা মোতাবেক দ্রুত মাঠ পর্যায়ে তদন্ত কাজ শুরু করা হবে। “
ঘটনায় উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা কতটুকু তা তদন্ত করে দ্রুততার সঙ্গে কেন্দ্রিয় কমিটি বরাবরে প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশন রয়েছে বলে জানান তদন্ত কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় নেতা খাদিমুল বাশার জয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. রকিবুজ্জামান বলেন, ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরী আকারে থানায় নথিভূক্ত হয়েছে। অভিযোগটির ব্যাপারে পুলিশের তদন্তকাজ চলছে। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।