বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে কক্সবাজারকে পরিবেশ বান্ধব এবং পরিকল্পিত বাসযোগ্য পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তুলার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) আয়োজনে সেমিনারে বক্তারা জানান, এ লক্ষে কক্সবাজারের মাস্টার প্লান প্রনয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে।
এর পুর্বে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লে-কার্ড নিয়ে র্যালীতে নানান শ্রেণী পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়। সবার গায়ে একই রঙের টি-শার্ট ও ক্যাপ র্যালীর সৌন্দর্য দ্বিগুণ করে।
বর্ণাঢ্য র্যালী শেষে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাল্টিপারপাস হলরুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, কউক চেয়ারম্যান কমডোর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছার।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সোলাইমান, কক্সবাজার গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.মিজানুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ সোলতান আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কউক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আশ্রয় আমার অধিকার’ এই বিষয়টি মাথায় রেখে স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমুহই চালিকা শক্তি এই প্রতিপাদ্যে কউক বিশ্ব বসতি দিবস পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রী তার ভিশন নিয়ে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করে পৃথিবীর কাছে পরিচিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই অগ্রযাত্রায় যে পরিকল্পনাগুলো আছে তা ২০৪১ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনৈতিক দেশ। যদি আমরা বড় ধরণের দুর্যোগের সম্মুখীন না হয় এবং আমাদের জিডিপি বাড়াতে পারি তবে আশা করি পৃথিবার প্রথম ১০টা অর্থনীতির কাছেই থাকবে। এক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করে আমাদের যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারকে সবার জন্য বাসযোগ্য করতে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। জেলাকে পরিকল্পিত নগরায়ন করতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করেই টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
নুরুল আবছার বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে ঢেলে সাজাতে আরও ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা তৈরি করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে গত মাসেই ৫টি প্রস্তাবনা গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর অনুমোদন ও অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী ৬ বছরের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছেন কউক চেয়ারম্যান।
এসময় কউক এর সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল তাহসিন বিন আলম, কউক সচিব আবুল হাসেম, বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র জিএম মো. আবু হেনা, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।