কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়া করা কাভার্ডভ্যানের চাপায় মুফিজ নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে দেড় ঘন্টা ধরে সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় জনতা। এসময় কাভার্ডভ্যানে ভাংচুর চালিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামুর মিঠাছড়ির ইউনিয়নের পানেরছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ৮ টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
নিহত মুফিজ প্রকাশ গোরামিয়া (৫৫) ওই এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে।
রামু মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস ভূট্টো ঘটনাস্থল থেকে জানান, রামু ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের একটি টহল দল কাভার্ডভ্যানটি ধাওয়া করলে ঘটনাস্থলে এসে মুফিজকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান এই ব্যক্তি। ঘটনার প্রতিবাদে কাভার্ডভ্যানটি ভাংচুর করে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখেন। এসময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাইওয়ে পুলিশের টহল দলটি। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে হামলা করে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যান।
তিনি জানান, হাইওয়ে পুলিশের টহল দল সড়কে দাঁড়িয়ে যানবাহন থামিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে। এবার তাই হয়েছে। পরে কক্সবাজার জেলা পুলিশের রামু থানার ওসির নেতৃত্বে একটি টিম ও রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সড়ক অবরোধ তুলে নেন।
রামু থানার ওসি মোহাম্মদ আবু তাহের দেওয়ান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।ঘটনার পর থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত কয়েকদফা রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেজবাহ উদ্দিনের সরকারি ও তার ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিক কল করা হলে ফোন রিসিভ করেনি।
ওই থানার উপ পরিদর্শক আজহারুলের ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোর রিসিভ করেন আল আমিন নামের এক ব্যক্তি। তিনি ঘটনাস্থল এলাকার বাসিন্দা উল্লেখ করে জানান, আজহারুল অজ্ঞান অবস্থায় আছেন।