কক্সবাজারের রামুতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় পথচারী নিহতের ঘটনায় উত্তেজিত জনতার হামলায় ওসিসহ চারজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন রামুক্রসিং হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেজবাহ উদ্দিন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম, কনস্টেবল ফখরুল ও শফি। আহতদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেজবাহ উদ্দিন একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এসেছে কুমিল্লা রিজিয়ন চট্রগ্রাম জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাসিম খান। তিনি ঘটনাস্থল রামু পানেরছড়া এলাকায় যান। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেন।
চট্রগ্রাম জোনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাসিম খান সোমবারের ঘটনা নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় ড্রাইভার, তার সহকারির বিরুদ্ধে নিয়নিত মামলা রুজু হয়ছে। তারা গ্রেফতার আছে। গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও, পুলিশের যারা আহত তারা চিকিৎসা নিয়েছে। তারা গুরুত্বর আহত নয়। ঘটনাটি বিভিন্ন সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টা তদন্ত করবে। যদি পুলিশের গাফিলতি থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের ধাওয়া কিনা নাকি গাড়ি চালকের ভুলের কারনে মারা গেছে সেটি এখন বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, সোমবার সন্ধ্যায় রামুক্রসিং হাইওয়ে থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আবুল মনছুরের নেতৃত্বে টহল টিম দূর্ঘটনা কবলিত কাভার্ডভ্যানটি পেছন থেকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে দ্রুতগামী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মুফিজ প্রকাশ গোরামিয়া (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়। নিহত মুফিজ পানেরছড়া এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের রামুর পানেছড়া বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এঘটনার খবর পেয়ে ওসির নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছলে বিক্ষুদ্ধ জনতা তাদের উপরও হামলায় চালায়। এবং ঘাতক কাভার্ডভ্যানটি ভাংচুর করে এবং সড়ক অবরোধ করে। পরে খবর পেয়ে রাত ৮ টার দিকে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা ও রামু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু তাহের দেওয়ান ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। যানচলাচল স্বাভাবিক করেন।
অভিযুক্ত রামুক্রসিং হাইওয়ে থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আবুল মনছুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার বিকালে রামুক্রসিং হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেজবাহ উদ্দিনের সরকারি ও তার ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলে তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।